সেদেশের দীর্ঘদিনের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
ইটালির রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট রক্ষণশীল নেত্রী হিসাবেই পরিচিত মেলোনি। বহুবার গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মেলোনি বলেছিলেন, তিনি গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেবেন, কেউ যেন এমন আশঙ্কা না করেন। নানা ধরনের নেতিবাচক কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।
Advertisement
কিছুদিন আগেই এক ইউক্রেনীয় বৃদ্ধাকে হেনস্তা করার ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। অনেকেই মনে করেছিলেন, নির্বাচনে ফায়দা তুলতেই এহেন পন্থা অবলম্বন করছেন ওই নেত্রী। তাঁর পোস্ট করা ভিডিওর বিষয়বস্তু বেশি মানুষকে আকর্ষণ করবে এবং তার ফলে মেলোনির জনপ্রিয়তা বাড়বে বলেই নিগ্রহের ভিডিও প্রকাশ করেছেন নেত্রী, এমনটাই দাবি করেছিলেন নেটিজেনরা। তবে এই কাজের পর নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে মেলোনি বলেছিলেন, মহিলাদের নিরাপত্তার দুরবস্থার কথা প্রকাশ করতেই এই ভিডিও ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
Advertisement
তবে দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেলোনির যাত্রা খুব একটা সুবিধার হবে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেশ কিছু দেশের মতো ইটালিও জ্বালানি সমস্যায় ভুগছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ফেডেরাল ব্যাঙ্কের আগ্রাসী আর্থিক নীতির ফলে ক্ষতির মুখে নানা দেশের অর্থনীতি। সেই দলে রয়েছে ইটালিও। জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ অক্টোবর নতুন সরকার প্রথমবারের জন্য অধিবেশনে বসবে।
Advertisement



