মাসুদ আজহার : চিনের অবস্থান না পাল্টানো পর্যন্ত ধৈর্য ধরবে ভারত, জানাল বিদেশমন্ত্রক

সুষমা স্বরাজ (File Photo: IANS)

দিল্লি, ১৬ মার্চ – পাকিস্তনের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের বিষয়ে ওই দুটি দেশই ঠিক করবে। তবে ভারত আশাবাদী যে পুলওয়ামা সহ কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে হামলা চালিয়ে আসা জইশ-ই-মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তালিকায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। আজ এভাবেই মাসুদ আজহার প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান ব্যখ্যা করা হয়েছে। উল্লেখ্য চিন সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘে মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা প্রক্রিয়ায় ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছে। এই নিয়ে পরপর চারবার তারা মাসুদকে বাঁচানোর জন্য ভেটো প্রয়োগ করলো। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনের পাঁচিল যদি মাসুদকে এতদিন ধরে আড়াল করে না রাখত, তাহলে রাষ্ট্রসংঘ এতদিনে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করে দিত। তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে আজ জানানো হয়েছে, মাসুদ আজহার সম্পর্কে চিনের অবস্থান নিয়ে ভারত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে প্রস্তুত।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ভারত ক্রমাগত আন্তর্জাতিক মহলে চাপ সৃষ্টি করে যাবে। মাসুদ আজহারকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এহেন ইমেজ তৈরির চেষ্টাকে সম্প্রতি কটাক্ষ করেছেন ভারতের বিদেশ্মন্ত্রী। দিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মিথ্যে কথা বলেছে পাকিস্তান।

রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ টি দেশের মধ্যে ১৪ দেশের সমর্থন রয়েছে ভারতের পক্ষে। সুত্রের খবর জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না। সম্প্রতি চতুর্থবারের জন্য চিন ভেটো দিলেও মাসুদ আজহার নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিজের অবস্থান থাকে সরবে না ভারত। এছাড়াও পাকিস্তান যেভাবে এফ-১৬ বিমানের অপব্যবহার করেছে, তা মার্কিন প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে ভারত।


ভারতের বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাসুদ আজহার প্রসঙ্গে চিন যেভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে ভারত রীতিমতো ব্যথিত। তবে জইশ প্রধানকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার ব্যাপারে ভারত লবি চালিয়েই যাবে।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব জঙ্গি তালিকায় আজহারের নাম উঠলেই দেশেবিদেশে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ভারত ছাড়াও ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং আমেরিকা রাষ্ট্রসংঘের ওপর জোরদার চাপ দিয়ে চলেছে, যাতে মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়।