দু’মাস ধরে লড়াইয়ের পর জীবন যুদ্ধে হার করমণ্ডল দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তির 

কটক , ৪ অগাস্ট – টানা দু’মাসের লড়াই শেষ। শুক্রবার ভোরে ওড়িশার কটক হাসপাতালে মৃত্যু হল করমণ্ডল দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম শেখ খোকনের। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা শেখ খোকন। ভাটাকুল গ্রামে তাঁর বাড়িতে খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে।

২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনেই কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি শেখ খোকন। সংসারের দায়িত্বভার ছিল তাঁর কাঁধেই। বসবাসের উপযোগী বাড়িও ছিল না তার । একটি বাড়ি তৈরির স্বপ্ন নিয়ে কেরালায় রুজি রোজগারের জন্য রওনা দিয়েছিলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনার মাথায় ও কোমরে গুরুতর চোট  লাগে । জখম অবস্থায় ওড়িশার কটক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান। একচিলতে ঘরই মাথা গোঁজার ঠাঁই। কোনও রকমে দিন চলত। দুর্ঘটনার পর থেকেই  তাঁর খোঁজ মিলছিল না। চারদিন পর তাঁর পরিবার জানতে পারেন কটক হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। পরিবারের লোকজন তখনই ওড়িশায় রওনা দেন। দু’মাস ধরে চলে যমে-মানুষে লড়াই। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।জীবনযুদ্ধে হার হল শেখ খোকনের।


খোকন শেখের মৃত্যুর খবরে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তনু কোঁয়ার। তিনি বলেন, “বাড়ির লোকজন আশায় ছিলেন খোকন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তা হল না। এটা মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা ওর পরিবারের পাশে আছি।”