অঙ্গনওয়ারির খাবারে মিলল টিকটিকি, খাবার খেয়ে অসুস্থ বাঁকুড়ার ২০ জন শিশু

বাঁকুড়া, ২৬ মে — যেখানে শিশুদের স্বাস্থ সম্পর্কে বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন ,সেখানে তাদের স্বাস্থ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। তাদের জীবনের সাথে খেলা হচ্ছে। এমনটাই ঘটেছে বাঁকুড়ার এক অঙ্গনওয়াড়িতে।    অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে মরা টিকিটিকি ! সেই খাবার পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল প্রায় ২০ জন শিশু। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানা এলাকার হাটগ্রামে। অসুস্থ শিশুরা বর্তমানে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দপুরের হাটগ্রাম উপরপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ৬০জন শিশু ও গর্ভবতী মায়েরা খাবার পান। শুক্রবার দুপুরের এক শিশুর মা ওই কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে যান।

ওই খাবার থালায় ঢালতেই দেখেন, মরা টিকটিকি পড়ে রয়েছে। তিনি খাবার নিয়ে নালিশ জানাতে অঙ্গনওয়াড়িতে যান।


এদিকে একের পর এক শিশু ওই খাবার খেয়ে অসুস্থ হতে শুরু করে। খাবারে বিষক্রিয়ার ফলে বমি শুরু হয় তাদের। সঙ্গে মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে তাদের। অসুস্থ শিশুদের নিয়ে প্রথমে হাটগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ২০জন শিশুর অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযোগকারিণী জানান, ওই অঙ্গনওয়াড়ি থেকে নেওয়া খিচুড়ি বাচ্চাকে কয়েক গ্রাস খাওয়ানোর পর দেখতে পাই খিচুড়িতে মরা টিকটিকি পড়েছে। এরপরেই বমি শুরু হয় বাচ্চার। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ছুটতে হয়। এর আগেও একাধিকা জেলায় মিড ডে মিলে সাপ, টিকটিকি, আরশোলা, পোকা পড়ার অভিযোগ উঠেছে।

ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। অঙ্গনওয়াড়ির সহায়িকাদের দাবি, খাবারে কোথা থেকে টিকটিকি এল তা বুঝতে পারছেন না। তবে স্থানীয়দের দাবি, খাবার তৈরির সময় পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা হয় না। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই ঘটনার পর সকলের খুব সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। অঙ্গনওয়াড়ি বা স্কুল যে কোনো জায়গায় যেখানে মিড ডে মিল দেওয়া হয় তাদের খাবারের  জায়গা সরঞ্জাম খুব পরিষ্কার রাখা  উচিত ,কারণ কোনোরকম বিষাক্ত কোনো জিনিস খাবারে চলে গেলে তা থেকে ছোট ছোট বাচ্চা বা অনেকের জীবন হানি হতে পারে। অনেক অসুস্থ গর্ভবতী মহিলা সেই খাবার খান, তাদের জীবন হানি হতে পারে। তাই অঙ্গনওয়াড়ি বা স্কুল কর্তৃপক্ষকে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।