• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

আদালত ও সরকারের বিবাদে নয়া মাত্রা চন্দ্রচূড়কে চিঠি রিজিজুর

দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি–  কলেজিয়ামে তাদের প্রতিনিধি রাখতে আগ্রহী, এই মর্মে  দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি নিয়োগের জন্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কলেজিয়ামে তাদের অভিমত জানাতেই কেন্দ্রের এই চিঠি বলে জানা গিয়েছে। সরকারি সূত্রে পাওয়া এই খবর সম্পর্কে আধিকারিকরা মুখ না খুললেও আইনমন্ত্রকের এক অফিসার বলেন, প্রধান বিচারপতি চিঠির প্রাপ্তি

দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি–  কলেজিয়ামে তাদের প্রতিনিধি রাখতে আগ্রহী, এই মর্মে  দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি নিয়োগের জন্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কলেজিয়ামে তাদের অভিমত জানাতেই কেন্দ্রের এই চিঠি বলে জানা গিয়েছে।

সরকারি সূত্রে পাওয়া এই খবর সম্পর্কে আধিকারিকরা মুখ না খুললেও আইনমন্ত্রকের এক অফিসার বলেন, প্রধান বিচারপতি চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করার পর সরকারের তরফে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হবে।

সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা আইনমন্ত্রক, নাকি আদালতের হাতে থাকবে এ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গে আদালতের বিবাদ অনেক দূর গড়িয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত কমিশন তৈরি করলে সুপ্রিম কোর্ট তা অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওই ভূমিকার প্রকাশ্যেই সমালোচনা করে নজিরবিহীন অবস্থান নিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। তাঁর দাবি, সংসদের তৈরি আইন সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করতে পারে না।

এই অবস্থায় রিজিজুর চিঠি আদালত ও সরকারের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদে নয়া মাত্রা যোগ করল বলে মনে করা হচ্ছে। মোদী সরকার যে বিচারপতি নিয়োগে নিজেদের অধিকার ছাড়বে না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, কমিশন বাতিল হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্র এখন চাইছে সরাসরি কলেজিয়ামেই সরকারি প্রতিনিধিদের রাখা হোক। এখন কলেজিয়ামের সদস্যরা সকলেও কর্মরত বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সেই কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিরা আছেন।

গতমাসে আইনমন্ত্রী রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন, বর্তমান কলেজিয়াম ব্যবস্থায় বিচারপতি নিয়োগে সামাজিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। পশ্চাৎপদ অংশ থেকে আসা বিচারপতিরা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন কম। তাছাড়া, নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের পারদর্শিতা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ আছে বলে অভিমত কেন্দ্রের। রিজিজু কার্যত কলেজিয়ামের বিচারপতি বাছাইয়ে দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।