কৌস্তভের গ্রেফতারি, কুনালের বিরোধিতা, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি 

কলকাতা, ৪ মার্চ — কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর গ্রেফতারি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি । শনিবার ভোররাতে তাঁর  ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে কৌস্তভকে গ্রেফতার করা হয়।  কংগ্রেস এবং বাম গ্রেফতারির পর থেকেই সরব। বিরোধিতা করেছেন সদ্য জেল থেকে মুক্ত আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এখানেই শেষ নয় শাসক দলকে বিব্রত করে এই গ্রেফতারির প্রকাশ্য বিরোধিতায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও । জেল থেকে বেরিয়েই, কৌস্তুভের পাশে আছেন বলে ঘোষণা করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কুণাল  ফেসবুক পোস্টে গ্রেফতারি নিয়ে বলেছেন , ‘‘আমাদের ছাত্রযুবরা কৌস্তভের অসভ্যতা বুঝে নিতে পারত। কিন্তু পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ঠিক হল না।’’  তবে এই অভিমত যে তাঁর ব্যক্তিগত, তা-ও ফেসবুকে জানিয়ে দিয়েছেন কুণাল। 
 
কুণাল মনে করছেন, এতে কৌস্তুভই প্রচার পাবেন এবং তাঁরই ‘লাভ’ হবে। লিখেছেন, এই গ্রেফতারি ‘‘বিরোধী শক্তির অশুভ আঁতাতের কুৎসিত রাজনীতির হাতিয়ার হবে, একাংশের মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারের মুখ হবে, কিছু মানুষের সহানুভূতি পাবে। গ্রেফতারকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করবে তারা।’’ একই সঙ্গে, শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে কৌস্তুভ যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, তারও নিন্দা করেছেন তিনি। কুণাল লিখেছেন, ‘‘কৌস্তুভ অন্যায় করেছে। মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ওই ধরণের চরম কুৎসা বরদাস্ত করা যায় না।’’
এই গ্রেফতারির সঙ্গে উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষের গ্রেফতারিরও মিল দেখতে পাচ্ছেন তিনি। সে প্রসঙ্গ তুলে কুণাল লিখেছেন, ‘‘যে দিন পুলিশ সজলের বাড়ির দরজা ভেঙেছিল, আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। পরে প্রমাণিত হয়েছে আমার প্রতিবাদ সঠিক ছিল। লাভ হয়েছিল সজলের। মধ্য কলকাতায় একটি ওয়ার্ড জিতেছিল বিজেপি। সে দিন পুলিশি অভিযানের ধরন ছিল ভুল।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘সজলের দরজা ভাঙার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল।’’ ২০২১ সালের ১৩ অগস্ট মুচিপাড়া থানার পুলিশ বিজেপি নেতা সজলকে তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেফতার করেছিল। ওই বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতার পুরভোটে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জেতেন সজল।