ম্যারাথন জেরার মুখে ‘কালীঘাটের কাকু’ 

কলকাতা , ৩০ মে –  সকাল ১১ টায় ইডি দফতরে পৌঁছনোর পর রাত আটটা – তখন টানা জেরার মুখে কালীঘাটে কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।  নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ইডি দফতরে পৌঁছন তিনি।  প্রথম বার ইডি দফতরে গেলেও এদিন সকালে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী  ছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল,  ‘ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কি ভয় পাচ্ছেন’ ? তাঁর জবাবও ছিল নির্ভীক। জবাব ছিল  ‘আত্মবিশ্বাসী কি না বেরোনোর সময় দেখবেন।’ তবে ঠিক কি কারণে তাকে তলব করা হয়েছে , সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছুই বলেননি কালীঘাটের কাকু।  যদিও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে , নাম বেনামে অনেক সম্পত্তি রয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের। আট  ঘন্টা ইডি কোন বড়সড় কারণ ছাড়াই জেরা করছে এমনটা হতে পারেনা , এমনি মন্তব্য আসছে এ রাজ্যের শাসক -বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের তরফে। 
 
উল্লেখ্য,  সম্প্রতি  দীর্ঘক্ষণ ধরে বেহালায় তাঁর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সে দিন কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়  সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তলব করা হয়। গত শনিবার বেহালার ফফিরপাড়া রোডে তল্লাশি অভিযানের সময় সুজয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ‘তথ্য’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছিলেন, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কুন্তল তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলতেন, ‘‘কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ ইডি সূত্রে খবর, পরে গোপাল দলপতি এবং তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, কুন্তলের ওই কালীঘাটের ‘কাকু’ রাজ্যের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার সংস্থার সিইও । তার পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘আতশকাচের তলায়’ সুজয়।