তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে হেনস্থা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতা দুটি পৃথক মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। দুটি ক্ষেত্রেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন কোনও এফআইআর করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, এই দুটি মামলার মধ্যে একটি কাঁথি সমবায় সমিতিতে দুর্নীতি মামলা। যে মামলায় আগেও আরও এক বিচারপতি সরে দাঁড়ান। বিচারপতি পার্থসারথি সেন সরে দাঁড়ানোর পর মামলা যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এবার তিনিও এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন।
Advertisement
অন্যদিকে, গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ দেয়। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন মামলা করতে গেলেও আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের অন্য বিচারপতির কাছে আর্জি জানিয়ে সুরাহা না-পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকারকে আগের নির্দেশে রদবদলের জন্য হাই কোর্টেই আবেদন জানাতে হবে।
Advertisement
এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের হয়ে এই মামলা দাখিল করে কলকাতা পুলিশ। কালীঘাটে একটি বাসকে কেন্দ্র একটি টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। মন্তব্য করেন পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও। তার প্রেক্ষিতেই এই মামলা করেছে পুলিশ।
Advertisement



