মিথ্যাচার কি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বা মন্ত্রীর তরফে শোভা পায়?’ গিরিরাজকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইল তৃণমূল 

কলকাতা, – ৭ এপ্রিল – কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সত্যাচার করেনি। তাঁদের সঙ্গে মিথ্যাভাষণ করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলে মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে চিঠি দিল তৃণমূল। চিঠির নিচে স্বাক্ষর ছিল তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের।

ঘটনার সূত্রপাত ৫ এপ্রিল, বুধবার । কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ফিরে আসতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ২৫ জন তৃণমূল সাংসদকে। গিরিরাজের সচিব অভিষেককে জানান, মন্ত্রী দিল্লিতে নেই, বিহারে গেছেন , এক সপ্তাহের আগে ফিরবেন না। মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে সচিবের কাছেই নিজেদের দাবির কথা জানান সাংসদরা। সচিবকে অভিষেক বলেন, “১০০ দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ থাকলে সিবিআই তদন্ত করুন, আদালতে যান, কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য মিটিয়ে দিন।”  

তৃণমূলের দাবি, এরপর বৃহস্পতিবারই সংসদ ভবনে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে মুখোমুখি পড়ে যান গিরিরাজ। তখন তাঁরা মন্ত্রীকে চেপে ধরেন। জানতে চান, কেন এভাবে মিথ্যে বলা হল তাঁদের?


শুক্রবার এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে দলীয় তরফে চিঠি লেখেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। এই ‘মিথ্যাচারে’র বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূলের তরফে সরাসরি মন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা হয়েছে, “আপনার সচিব বলেছিলেন আপনি বিহারে চলে গিয়েছেন এবং এক সপ্তাহের জন্য ফিরবেন না। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে খেয়াল করি, আপনি দিল্লিতেই রয়েছেন। আমাদের সাংসদরাও আপনাকে লোকসভায় দেখতে পান এবং সংসদে আপনার কাছে তাঁরা দাবিদাওয়া জানান।”  তাঁদের প্রশ্ন, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া কি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বা মন্ত্রীর তরফে শোভা পায়? তা কি অনৈতিক নয়?

বুধবার তৃণমূল সাংসদদের যখন মন্ত্রীর সচিব বলেন মন্ত্রী বিহারে গেছেন, তখন অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “আমি ধরে নিতে পারি যে আপনি মিথ্যা বলছেন না। কারণ, মিথ্যা বললে তা ধরা পড়েই যাবে।” তৃণমূল নেতাদের কথায়, অভিষেকের কথাই সত্যি হল।