• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শিশুদের বার্থেই রেলের ঘরে ২,৮০০ কোটি 

দিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর– অবশেষে কচি-কাঁচারাই লাভের মুখ দেখাল ভারতীয় রেলকে । গত সাত বছরে দূরপাল্লার ট্রেনে ছোটদের টিকিট বাবদ রেলের ঘরে এসেছে ২,৮০০ কোটি টাকা। আর রেলের ভাণ্ডারে এই অর্থ শুধু ছোটদের জন্য টিকিট বিক্রি করেই। ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল থেকে শিশুদের জন্য আলাদা আসন কিংবা বার্থ নিতে গেলে পুরো ভাড়া দেওয়ার নিয়ম চালু করে

দিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর– অবশেষে কচি-কাঁচারাই লাভের মুখ দেখাল ভারতীয় রেলকে । গত সাত বছরে দূরপাল্লার ট্রেনে ছোটদের টিকিট বাবদ রেলের ঘরে এসেছে ২,৮০০ কোটি টাকা। আর রেলের ভাণ্ডারে এই অর্থ শুধু ছোটদের জন্য টিকিট বিক্রি করেই।

২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল থেকে শিশুদের জন্য আলাদা আসন কিংবা বার্থ নিতে গেলে পুরো ভাড়া দেওয়ার নিয়ম চালু করে রেল। আর তাতেই রেলের বিপুল আয় হয়েছে। হিসাব বলছে, এই সাত বছরে ক্রমেই পুরো ভাড়া দিয়ে শিশুদের জন্য আলাদা আসন বা বার্থ নেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা শিশুদের জন্য আলাদা আসন নিচ্ছেন পুরো ভাড়া দিয়ে। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এক অবেদনের জবাবে এমন তথ্যই জানিয়েছে রেল। সংবাদ সংস্থার খবর, গত সাত বছরে ৩.৬ কোটি শিশু অর্ধেক ভাড়া দিয়ে অভিভাবকদের বার্থেই সফর করেছে। আর ১০ কোটির বেশি শিশু পুরো ভাড়া দিয়ে পুরো আসন নিয়েছে। ফলে বিপুল আয় বেড়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, দিন দিন বাড়ছে সংরক্ষিত টিকিটের চাহিদা। প্রয়োজনের তুলনায় যোগান অপ্রতুল। ভারসাম‌্য রাখতে কিছু সংরক্ষিত আসন বা ‘এমারজেন্সি কোটা’ রেখে দেয় রেল। যা চাহিদার নিরিখে বিচার করে এসিএম (রিজার্ভেশন) অনুমোদন করে। এই ‘কোটা’র টিকিটের বেশিরভাগটাই ‘অপব‌্যবহার’ হয়ে থাকে বলে অভিযোগ। পিছনে নানা অভিসন্ধি থাকে বলে জেনেছে রেল। গোপনে টাকার বিনিময়ে এমন অনেক টিকিট যেমন দেওয়া হয়, তেমনই মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের সিল ও স্বাক্ষর নকল করেও অনুমোদনের দাবি করা হয়। কদিন আগেই এই অব‌্যবস্থা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে রেল। এবার থেকে সুপারিশকারী ও অনুমোদনকারী অফিসারকে জানাতে হবে, যে যাত্রীর জন‌্য এই কোটার সুপারিশ তার সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ কী?

Advertisement

Advertisement