‘তাদের ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতাম’ : বিদ্যা

পাপারাৎজিদের ভয়ে জুজু হয়ে থাকেন না এমন সেলেব মেলা ভার। কারণ তাদের এক ক্লিকেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে যেকোন সেলেবের ভাবমূর্তি। এক প্রকার দিনের প্রতিটা সময়ই নিজেকে পারফেক্ট লুকে রাখতে হয়। জিম লুক, এয়ারপোর্ট লুক ছাড়াও আরও কত লুক। আর এই ভয় থেকে রেহাই পাননি বিদ্যাও। রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছিল বিদ্যা বালানকেও । 

বিদ্যা জানালেন, তাঁর বয়স এখন ৪৪ বছর, নিজের ছকভাঙা ফ্যাশন, মেদবহুল চেহারাতেই দিব্যি আছেন তিনি। বিদ্যার কথায় সুস্থ থাকাটা জরুরি। তিনি রীতিমত ভয়ে থাকতেন এয়ারপোর্ট লুক নিয়ে। ঠাকুরকে ডাকতেন যেন কোনও ফোটোগ্রাফার না আসেন। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হতো না। ভয়ে লুকিয়ে থাকতেন বিদ্যা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই ঠিক হয়ে যায় বলেও দাবি করেন তিনি।

ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত ‘সাইজ কনসেপ্ট’কে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। শাড়িতেই তিনি স্বচ্ছন্দ, শাড়িতেই তিনি খুশি। কিন্তু জীবনের কোনও না কোনও সময় বডি হাগিং, সিকুইন পোশাক তিনি পরে দেখেননি এমনটা নয়। পরেছেন, চেয়েছেন অন্য অভিনেত্রীর মতো দেখতে… কিন্তু বিদ্যার মনে হয়েছে, অদ্ভুত দেখাচ্ছে তাঁকে। অকপট অভিনেত্রী মুখ খুলেছিলেন এক চ্যাট শো’য়ে।

রেড কার্পেটের বেশিরভাগই শাড়িতে দাপানো, নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জে বেশ ভাল ভাবেই পাশ করেছেন বিদ্যা। 


বিদ্যার উত্তর, “আমার কাছে তো কোনও চয়েজই ছিল না। ওই সব পোশাকে আমি ফিট করতাম না। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি হয় সারাজীবন ওঁদের মতো হওয়ার বাসনা করে যাব আর নয়তো আমি যা আমি তাই হয়েই থাকতে পারব।” কোনও দিন অন্য কোনও অভিনেত্রীর স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুসরণ করার ইচ্ছে হয়নি তাঁর? ‘আমি মুক্ত…আমি স্বাধীন। মানুষের কাছে তোমার প্রশংসা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কারণ, তাঁরা নিজেরাও বুঝে গিয়েছেন আমার লজ্জা নেই।”