পেটেন্ট থেকে মুক্তি, ওষুধের দাম কমবে ৫০ শতাংশ

Written by SNS May 24, 2023 5:59 pm

দিল্লি, ২৪ মে– এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ওষুধের দামও নেহাত কম নয়। বহু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ বেশ চোদা দামে বিক্রি হয় বাজারে। কারণ বহুজাতিক কোম্পানিগুলির নিয়ে রাখা পেটেন্ট। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকার যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে তাতে দামি ওষুধের হাত থেকে রেহাই পাবেন সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকার ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ আদেশ সংশোধন করেছে। ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অ্যামেন্ডমেন্ট ২০২৩ অনুসারে, এখন বহুজাতিক কোম্পানিগুলির নেওয়া পেটেন্টগুলি বাতিল করার কথা ভাবছে সরকার।

পেটেন্ট শেষ হওয়া ওষুধের দাম কমবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। আর এক বছরের অপেক্ষা। নির্ধারিত বেশ কিছু ওষুধের পাইকারি মূল্য কমবে। বদলে যাবে এমআরপি-ও। সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই এই নীতি অনুসরণ করে আসছে কেন্দ্র সরকার। বর্তমানে এটাকেই আনুষ্ঠানিক করা হচ্ছে। সাধারণত বিশ্ব বাজারে কোনও ওষুধ তার মনোপলি স্ট্যাটাস হারিয়ে জেনেরিক সংস্করণে প্রবেশ করলেই দাম ৯০ শতাংশ মতো কমে যায়।

গত কয়েক বছরে, মনোপলি স্ট্যাটাস হারানোর পর ভিলডাগ্লিপটিন এবং সিটাগ্লিপটিন সহ জনপ্রিয় অ্যান্টি ডায়াবেটিক ওষুধের দাম এবং ভালসার্টান সহ কার্ডিয়াক ওষুধের দাম ব্যাপক হারে কমেছে। পরবর্তীকালে, জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি তাদের ক্রয়ক্ষমতা এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা উন্নত করার জন্য দুটি ওষুধের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘পেটেন্ট শেষ হয়ে গেলে, স্বাস্থ্যসেবার সামগ্রিক খরচ কমবে এবং ওষুধের অ্যাক্সেস বাড়াতে উচ্চ মানের জেনেরিক ওষুধ বাজারে প্রবেশ করবে। এর ফলে ট্যাবলেটের দাম কমবে। চিকিৎসা খরচ জোগাতে ঘটিবাটি বিক্রি করতে হবে না’।

এর পাশাপাশি ওষুধের দামও বেঁধে দিতে চায় সরকার। কিন্তু এই নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত নীতি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। অতীতে সরকার বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। রেফারেন্স মূল্য সহ একাধিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেটেন্ট ওষুধের দাম আলোচনার পরেও, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার কাছে ব্যয়বহুলই থেকে যাবে।

অন্য দিকে, ভুয়ো ওষুধের বিক্রি বন্ধ করতেও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে কিউআর কোড ব্যবস্থা। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের ১ অগাস্ট থেকেই এই ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।