অভিষেকের তালুকে ঘন্টার পর ঘন্টা তল্লাশি চালালো ইডি

কলকাতা , ২০ মে – একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে যখন সিবিআইয়ের জেরার মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তখন অন্যদিকে, শনিবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। ২০ মে, শনিবার সকাল থেকে অন্তত ১০ টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একাধিক টিম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তর বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। শনিবার সকাল থেকে ইডির একাধিক দল বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। 

সকাল থেকেই কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক ঠিকানায় ইডির হানা শুরু হয়। দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলে। দক্ষিণ কলকাতায় অভিষেকের বাড়ি। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এবার সুজয় ভদ্রের বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। শনিবার ভোরেই তাঁর সুজয় ভদ্রের বেহালার বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগেও এই মাসের প্রথমে তাঁর বাড়িতে হানা দেয়  সিবিআই । শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি কর্তারা। উল্লেখ্য, সুজয় ভদ্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লিপস অ্যান্ড বাউন্ড সংস্থার দেখভাল করেন বলে নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে তলবও করেছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের আগেও পাচারের মামলায় তাঁকে জেরা করা হয়েছিল। 

ইডির নিশানায় শনিবার ছিল অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকার বিবিরহাটও। সেখানকার জেলা পরিষদ আসনের তৃণমূল সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের বাড়িতে ইডির তল্লাশি চালায়। বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় নামে একজনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। সন্তু নিয়োগকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। নিয়োগকাণ্ডে ধৃত অয়ন দাবি করেছেন, সন্তুকে তিনি ২৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ইডি চার্জশিটেও বিষয়টি উল্লেখ করে।

শনিবার সকাল থেকে ইডির গন্তব্যে ছিল অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকার ঠিকানা। আবার ঘটনাচক্রে, আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর হাজিরাও ছিল সেই একইদিনে।  


রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তল ঘোষের চিঠির মামলায় শনিবার সকাল ১১টায় সিবিআই তলব করে অভিষেককে। নির্ধারিত সময়ে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরেও পৌঁছে যান তিনি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিষেকের জেরা চলে নয় ঘন্টারও বেশি সময় ধরে।