• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিবিসিকে তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট 

দিল্লি, ২২ মে – ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’ বা বিবিসিকে তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট। এই বছরই জানুয়ারি মাসে মুক্তি পায় এই তথ্যচিত্র। মুক্তির পর থেকেই শিরোনামে চলে আসে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি।  শুরুতে ‘বিবিসি টু’ চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবার কথা ছিল। ভারতে সম্প্রচারের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না বিবিসির। কিন্তু শুরু থেকেই  তথ্যচিত্রটির সম্প্রচার নিষিদ্ধ

Delhi High Court. (File Photo: IANS)

দিল্লি, ২২ মে – ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’ বা বিবিসিকে তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট। এই বছরই জানুয়ারি মাসে মুক্তি পায় এই তথ্যচিত্র। মুক্তির পর থেকেই শিরোনামে চলে আসে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি।  শুরুতে ‘বিবিসি টু’ চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবার কথা ছিল। ভারতে সম্প্রচারের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না বিবিসির। কিন্তু শুরু থেকেই  তথ্যচিত্রটির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। টুইটার এবং ইউটিউবকেও এটি দেখানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। প্রতিবাদে এই নিয়ে ময়দানে নামে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও ছাত্রসংগঠন। হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম জুড়ে এর ক্লিপিংস ছড়িয়ে পড়ে।বিভিন্ন পক্ষ বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। ‘হিন্দু সেনা’-র তরফে বিবিসির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ একে ‘মেরিটলেস’ বলে বাতিল করে। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে বিবিসির নয়াদিল্লির দফতরে তল্লাশি শুরু করে বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের আয়কর দফতর।  

এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গুজরাটের এনজিও ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’। তাদের দাবি, এই তথ্যচিত্র ভারতের জনসাধারণকে অপমান করেছে। এই তথ্যচিত্রের বক্তব্য দেশের সম্মান, বিচারব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মানের পক্ষেও হানিকর। মামলাকারীর হয়ে মামলাটি লড়ছেন বরিষ্ঠ অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে। মামলাটি উঠেছে বিচারপতি সচিন দত্তের এজলাসে।বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে এনজিও-র হয়ে সওয়াল করেন। এর পরেই হাই কোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে জবাব দিতে হবে অভিযুক্ত সংস্থাকে।” জবাবে দিল্লি হাইকোর্ট সমস্ত পক্ষকে নোটিস পাঠায়। তবে এখনই তা নিয়ে বড় কোনও বিতর্ক হবার সম্ভাবনা কম। বিচারপতি শচীন দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে মামলাটির শুনানি হবে।

এর আগে বিদেশ থেকে অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ এনে বিবিসি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ইডি। ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’-এর অধীনে মামলা রুজু করে ইডি। সেইসঙ্গে ওই সংস্থার একাধিক আধিকারিককে নথি এবং বয়ান রেকর্ডের জন্য ইডি তলবও করে। আর এবার তথ্যচিত্র নিয়ে ফের মানহানির মামলায় অস্বস্তিতে বিবিসি।

Advertisement

Advertisement

Advertisement