বাহিনী নিয়ে বিএসএফ কর্তা – রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার পত্রবিবাদ 

কলকাতা, ৮ জুলাই – রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে চরম অসহযোগিতার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বাহিনীর যথাযথ বিন্যাসের জন্য কমিশনের উপর আস্থা না রেখে বিএসএফ আইজি পদ মর্যাদার অফিসার সতীশচন্দ্র বুদোকোটিকে বাহিনী কো-অর্ডিনেটর করা হয়। শনিবার বিএসএফ কর্তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে কমিশন। ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে যাওয়ার পরও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়নি। আর সেই কারণেই স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করা গেল না।

জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বক্তব্য, ‘আপনার চিঠি পেয়ে আমি বিস্মিত। আপনাকে তো সবই বিস্তারিত জানানো হয়েছে। চিঠি লিখে, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সব বলা হয়েছে। তার রেকর্ড রয়েছে।’

শনিবার রাজ্যে নির্বাচন ঘিরে ব্যালট বাক্স ভাঙচুর, ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাস, খুন কিছুই বাদ যায়নি। এই পরিস্থিতিতে বার বার খোঁজ পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কিন্তু বেশিরভাগ বুথেই বাহিনীর দেখা মেলেনি।কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে এই ব্যর্থতার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী ইতিমধ্যে বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেলকে আইনি নোটিস ধরিয়েছেন। বিএসএফ কর্তা অবশ্য তার আগেই গোটা অব্যবস্থা ও অসহযোগিতার দায় চাপিয়ে দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর।


কমিশনকে লেখা চিঠিতে বিএসএফ কর্তা লেখেন “বৈঠকের পর গত ৬ জুলাই আপনি শুধু জেলাওয়াড়ি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন ব্লক, কোন পঞ্চায়েত, বুথ নম্বর কত তার কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি। বিস্তারিত নাস পেলে স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করা আমাদের অসম্ভব।”

পর্যবেক্ষকদের মতে,  কমিশনার এবং বিএসএফ কর্তার এই পত্র বিবাদ আসলে উভয় পক্ষেরই দায় এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল।