শেষমেশ ধরা পড়লো হিংস্র চিতাবাঘ, আতঙ্কে কাঁপছিলো গোটা জোরহাট

Written by SNS December 29, 2022 6:40 pm

দিশপুর,২৯ ডিসেম্বর — রীতিমতো ভয়ে থরথর কাঁপছিলো গোটা জোরহাট। চিতাবাঘের তান্ডবে ঘুম খাওয়া ডগায় উঠেছিল মানুষের। প্রচন্ড আক্রোশে লোকজনের ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল সেই চিতাবাঘ । অভয়ারণ্য থেকে পালিয়ে এসে আরও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল প্রাণীটা। এই চিতাবাঘের হাত থেকে অন্তত ১৬ জন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। চলন্ত গাড়ির ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল অবলীলায়। জোড়হাটের ত্রাস সেই চিতাকে খুঁজে বের করতেই কালঘাম ছুটে যাচ্ছিল বন আধিকারিকদের। অবশেষে তাকে কব্জা করা গেছে।

এ যেন দীর্ঘ যুদ্ধ চলছিল। শেষেমেষ জয় লাভ করা গেছে।  সোমবার সকাল থেকে গোটা জোড়হাট জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ । দিনভর এদিক সেদিক ঘাপটি মেরে থেকে লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। তার পছন্দ মতো শিকার না পেয়ে আরও হিংস্র হয়ে উঠছিল সে। রাত নামতেই গা ঢাকা দিচ্ছিল অজ্ঞাত কোনওস্থানে। চিতাবাঘের আতঙ্কে জোড়হাটের বাসিন্দারা একপ্রকার ঘরবন্দি হয়েই ছিল। চিতাবাঘ ধরা না পড়া অবধি সকলকে বাড়ির ভেতরেই দরজা-জানলা এঁটে থাকার নিদান দিয়েছিল পুলিশ ও বন দফতরের কর্তারা। হন্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছিল সেটিকে। কিন্তু অত্যন্ত ধূর্ত ও আক্রমণাত্মক সেই চিতাবাঘের নাকাল পেতে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছিল বাঘা শিকারিদেরও।

ডিব্রুগড়ের ফরেস্ট রেঞ্জার পি বোরা বলেছেন, রাতভর তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে চিতাবাঘের নাগাল পাওয়া যায়। একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ভাঙাচোরা জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছিল সেই প্রাণীটা। সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয় তাকে। নিঃশব্দে সেই জায়গায় পৌঁছে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে অজ্ঞান করা হয় তাকে। তারপর বড় খাঁচায় ভরে নিয়ে আসা হয় বাইরে। সামান্য অসাবধান হলেই বিপদ ঘটে যেত। তাই প্রাণীটাকে আগে অচৈতন্য করার দরকার ছিল। আপাতত তাকে খাঁচাতেই রাখা হয়েছে। পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।