• facebook
  • twitter
Saturday, 14 December, 2024

মণিপুর জ্বলছেই, সেনা জঙ্গি সংঘর্ষ-অগ্নিসংযোগ-অবরোধ

ইমফল, ১৭ জুন– শত চেষ্টাতেও শান্ত হচ্ছে না মণিপুর। দুই জনজাতির মধ্যে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। যাতে ঘটেছে মৃত্যুও। যদিও শনিবার নতুন করে মৃত্যুর খবর না এলেও শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অন্তত এক ডজন এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে কুকি জঙ্গিদের। শুক্রবারেই ইম্ফলে এক বিজেপি বিধায়কের

ইমফল, ১৭ জুন– শত চেষ্টাতেও শান্ত হচ্ছে না মণিপুর। দুই জনজাতির মধ্যে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। যাতে ঘটেছে মৃত্যুও। যদিও শনিবার নতুন করে মৃত্যুর খবর না এলেও শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অন্তত এক ডজন এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে কুকি জঙ্গিদের। শুক্রবারেই ইম্ফলে এক বিজেপি বিধায়কের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। ক্রমে শাসক দল বিজেপি সেখানে কুকিদের আক্রমণের নিশানা হয়ে উঠছে।।পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি খাদ্য গুদাম।

যদিও শক্ত হাতে এই অশান্তি রোধ করার চেষ্টা করে চলছে রাজ্য থেকে কেন্দ্র সরকার। সেই চেষ্টাতেই রাজ্য সরকার এখনও ১১টি জেলায় কারফিউ জারি রেখেছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ।

শনিবার ইম্ফল শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ এবং বিজেপি নেতাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা ঘটনায় দুইজন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন।

পৃথক ঘটনায়, মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াকতা এবং চুরাচাঁদপুর জেলার কাংভাইয়ে শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত বন্দুক যুদ্ধ চলে জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে।

এরই মাঝে রাজধানী ইম্ফল পশ্চিমের ইরিংবাম থানা থেকে অস্ত্র লুট করার চেষ্টা হয়। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। জানা গিয়েছে, গত মাসে গোলমাল শুরুর পর থানা এবং পুলিশ ব্যারাক থেকে প্রায় চার হাজার অস্ত্র, বিপুল গলা বারুদ লুট করে জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত তারমধ্যে আটশো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের চিন্তার বিষয় এই লুট হওয়া অস্ত্রগুলিই। কারণ এগুলি সরাসরি চলে হচ্ছে জঙ্গিদের হাতে। পরে এই অস্ত্রই তারা ব্যবহার করেছে পুলিশ তথা নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে।  

সরকারি সূত্রের খবর জঙ্গিদের উগ্র মনোভাব আঁচ করে রাজধানী ইম্ফলের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস এবং মণিপুর র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স দিনেও টহল দিচ্ছে শহরে।

সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতে ইম্ফলে প্রায় হাজার জনতা এক বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এর আগে দুজন বিজেপি ও একজন কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অন্যতম হলেন কেন্দ্রের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী আরকে রঞ্জন।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে আর একদল জনতা মধ্যরাতে সিনজেমাইতে বিজেপি অফিস ঘেরাও করে। তবে সেনাবাহিনী এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পার্টি অফিসের কোনও ক্ষতি হয়নি।

অন্যদিকে, শুক্রবার মধ্যরাতেই ইম্ফলের পোরামপেটের কাছে বিজেপির মহিলা শাখার সভানেত্রী শারদা দেবীর বাড়িতে একদল লোক ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয়।

শুক্রবার স্থানীয় জনতা ইম্ফল শহরের কেন্দ্রস্থলে রাস্তা অবরোধ করে এবং বহু সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেয়।

শুক্রবারই এক অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারের বাংলো লাগোয়া একটি গুদাম অঙ্গীদের আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় গুদামে আগুন দেওয়ার পরে ক্ষিপ্ত জনতার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র সঙ্গর্ষ হয়। হামলাকারীরা ওয়াংখেই, পোরোম্পট এবং থাঙ্গাপাট এলাকায় রাস্তার মাঝখানে টায়ার এবং বর্জ্য পুড়িয়ে সেটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে রাজধানী শহরে যানবাহনের তীব্র সমস্যা চলছে।