তিহারের ঠান্ডায় বেহাল ‘বীরভূমের বাঘ’ 

দিল্লি: কথায় আছে মাঘের ঠান্ডা বাঘকেও হার মানায়। কিন্তু এটা  তো পৌষ মাস, তারপর তিনি তো আবার ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মন্ডল। যদিও সেই বাঘ এখন তিহারের জেলে বন্দি। সেই বাঘ নাকি এই পৌষেই কাবু। তিহারের জেলে তিনি আছেন প্রায় একবছরের বেশি সময়। এখন দিল্লির ঠান্ডায় নাকি তার এমন অবস্থা যে নিজের সেল থেকে বেরোতেই নারাজ। যদিও সূত্র বলছে আসলে এখানে থাকতে থাকতে তার শরীর এবং মন দুই খারাপ। আর তাই স্বশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে চান না তিনি।

এখন দিল্লিতে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির আশেপাশে আর এতেই নাকি কাবু কেষ্ট। তবে শুধু কেষ্ট নন  মেয়ে সুকন্যা এবং জেলেও ছায়া সঙ্গী সেহগাল হোসেনেরও নাকি একই অবস্থা। এরা প্রত্যেকে একই আবেদন করেছেন। কোর্টে ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে চান তারা। সূত্রের খবর, এ দিন তিনজনকেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ বিশেষ ইডি আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরার আবেদন করলে সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত কন্যা এবং সেহগাল সহ অনুব্রত ভিডিও  কনফারেন্সের মাধ্যমেই আদালতে হাজিরা দেবেন। এই তিন জনের আবেদনে কোনও বিরোধিতা করেনি ইডি। ফলে আদালতে আবেদন মঞ্জুরি পেতে বিশেষ সমস্যাও হয়নি।

সূত্রের খবর কেষ্টর যত না মন শরীর খারাপ ঠান্ডায় তার থেকে বেশি খারাপ আর রাজ্যে না ফিরতে পারার আশঙ্কায়। তিনি বুঝতে পারছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে বোলপুরে বা রাজ্যে তার সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে দখলে আনছে তাঁর একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী কাজল শেখ। জেলায় নিজের অনুগামীদের একটা অংশ যারা এখনও অনুব্রত মণ্ডল এর ওপর আস্থা রাখেন, তারা যে কোণঠাসা সেটাও খবর পাচ্ছেন তিহারে বসেই। আবার অনেক অনুগামী যে জাহাজ বদলের চেষ্টায় সেটাও জেনেছেন তিনি। ফলে সব মিলিয়ে শরীরের থেকে মানসিক দিক দিয়ে অসুস্থতা বেড়েছে।


অন্যদিকে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বাদল কৃষ্ণ সান্যালের মৃত্যু হয়েছে। বয়স জনিত অসুস্থতায় মৃত্যু। বাদল, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের শ্বশুর। সতীশ এবং তাঁর স্ত্রী তানিয়া জামিন পেয়েছেন। তবে আইনজীবীদের একাংশের আশঙ্কা সতীশের জামিনের যুক্তি দিয়ে কেষ্ট মণ্ডলের জামিন এখনই পাওয়া খুব কঠিন।