গর্ভের সন্তান নয় আমি, প্রেমিকার কাছে শর্ত রাখেন মি. পারফেকশনিস্ট
Sunita Das
মুম্বই: কথায় আছে যত খ্যাতি আসবে তার সঙ্গেই আসবে বিতর্ক৷ বিশেষত অভিনয় জগতে জড়িতদের কাছে এটা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার৷ অহরহই শোনা যায় এই অমিনেতা তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেন তো ওই অভিনেতা সম্পর্ক ভাঙলেন৷ অনেক ক্ষেত্রেই সম্পর্কের এই জোড়া-ভাঙণ হয় গুপিসারেই৷ ঠিক যেমনটি হয়েছিল বলিউডে মি. পারফেকশনিস্ট খ্যাত আমির খানের ক্ষেত্রে৷
আপাতত আপাতত অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে আমিরের৷ যে ফাতিমার সঙ্গে ‘দঙ্গল’ ছবিতে বাবা-মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমির৷ তার আগেই অবশ্য তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে কিরণ রাওয়ের সঙ্গে৷ তবে বর্তমানে যে খবর তা কিন্তু তাঁর বর্তমান নিয়ে নয়৷ তাঁর অতিত নিয়ে৷
শুনলে চমকে উঠবেন যে আমিরের বিরুদ্ধে একসময় তার এক প্রেমিকার গর্ভপাত করানোর অভিযোগ ওঠে৷ দুই দশক আগের ঘটনা৷ বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এক ব্রিটিশ সাংবাদিক জেসিকা হাইনেসের৷ ২০০৫ সালে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসা আমিরের জীবনের এই প্রেমের ঘটনা সকলের নজর কেডে়ছিল৷ জেসিকার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন আমির৷ তাঁরা লিভ-ইনে থাকতেন৷ বহুদিন ধরে একসঙ্গে বসবাস করেছিলেন৷ তারপর একদিন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গিয়েছিলেন জেসিকা৷ হ্যাঁ–সেই সন্তানের, তথা ‘লাভ চাইল্ড’ জানের বাবা আমিরই৷ সেসময় আমিরের চরিত্রের এক বিচিত্র দিকও উঠে আসে আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে৷ প্রেমিকা জেসিকা অন্তঃসত্ত্বা৷ এই খবর জানতে পেরে সেই সন্তানকে অস্বীকার করেছিলেন আমির৷ জেসিকাকে হুকুম করেছিলেন, গর্ভপাত করিয়ে নিতে৷ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁকে৷ বলেছিলেন, ‘সন্তানের জন্ম দেবে না আমার সঙ্গে থাকবে, বেছে নাও৷ আমাকে পেতে গেলে এই সন্তানকে তোমায় নষ্ট করে দিতেই হবে…’৷
দাপুটে ব্রিটিশ সাংবাদিক কিন্ত্ত সেদিন বেছে নিয়েছিলেন তাঁর সন্তানকেই৷ আমিরের হুঁশিয়ারির সামনে মাথা নত করেননি তিনি৷ সন্তানকে জন্ম দিতে চেয়েছিলেন৷ এবং অবিলম্বে আমিরকে ছেডে়ও দিয়েছিলেন৷ ২০০৩ সালে জন্ম হয় আমির এবং তাঁর সন্তান জানের৷ পরবর্তীতে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছিলেন এই ব্রিটিশ সাংবাদিক৷ তাতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমির যদি ডিএনএ টেস্ট করাতে চাইতেন, তা হলে তিনি করাতেই পারতেন৷’ অন্যদিকে এতগুলো বছরে এ ব্যাপারে একটিও কথা বলেননি আমির খান৷ তিনি বরাবরই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন৷ আমিরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে অতীত করে দিয়ে ২০০৭ সালে বিয়ে করেছিলেন জেসিকা৷ লন্ডনের এক ব্যবসায়ীকে তিনি পেয়েছিলেন জীবনসঙ্গী হিসেবে৷ আমির এবং জেসিকার ‘লাভ চাইল্ড’ জানের দায়িত্ব পালন করছেন জেসিকার বর্তমান স্বামী উইলিয়াম ট্যালবট৷ জেসিকা একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি যখন ভারতে এসে অমিতাভ বচ্চনের বইয়ের উপর কাজ করছিলাম, উইলিয়ামই জানের দেখভাল করেছিলেন৷ তিনি আমার পুত্রের সম্পর্ক খেয়াল রাখেন৷ জান এক সুন্দর বাচ্চা৷ ওঁর বাবাও আছে এখন৷ তিনি উইলিয়াম৷’
আমির খানের ব্যক্তিজীবন বেশ রঙিন৷ প্রথমে রিনা দত্তর সঙ্গে ১৫ বছরের দাম্পত্য৷ তারপর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার৷ বর্তমানে তিনি সম্পর্কে আছেন ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে৷