প্লাস্টিকে ঢাকা রূপে আমি রূপে তুমি 

কেকা সিং ঢালী 

নিজেকে সুন্দর দেখতে কে না চায় , সব মেয়েদের মধ্যেই নিজেকে বেশি সুন্দর করে তোলার প্রবণতা থেকে থাকে । তারপর যদি তারা রুপালি আলোতে অভ্যস্ত হয় হয়, তাহলে তো তাদের টিকে থাকতে সর্বক্ষণ নিজেকে গ্ল্যামারাস ও বিউটির মুখোশ ঢেকে রাখতেই হয়। একে অপরের থেকে বেশি সুন্দর দেখাতেই হবে । কিন্তু এটা তো সম্ভব নয় যে সবাই জন্ম থেকেই চোখ ঝলসানো রূপ নিয়ে জন্মাবে। অথচ সিনেমা জগতে একটা কথা ভীষণ পরিচিত ‘পেহলে দর্শন ধারী ফির গুন্ বিচারি।’ পর্দায় এসেই আগে নিজের রূপে সবার চোখ ঝলসে দিতে হবে। অভিনয় ক্ষমতা থাকলেও রূপটা মাস্ট। 
আর তাই বেশিরভাগ বলি, টলি কিংবা হলিউডের নায়িকারা প্লাস্টিক বা কসমেটিক সার্জারির সাহায্য নিয়ে থাকেন। ক্যাটরিনা থেকে করিনা, নুসরাত থেকে শুভশ্রী প্রায় সকলেই  সার্জারির সহায়তা নিয়েছেন । আজকাল যেনো প্লাস্টিক বা কসমেটিক সার্জারি একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে । কেউ নিজের বয়সের ছাপ লুকোতে, আবার কেউ শারীরিক গঠন পাল্টাতে, কিংবা মুখশ্রী সুন্দর করতে প্লাস্টিক অথবা কসমেটিক সার্জারির করিয়ে থাকেন । যদিও এই প্লাস্টিক সার্জারির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার পার্সেন্টেজে কিন্তু মারাত্মক। সবার ক্ষেত্রে সেটা ভালো ফল দেয় না ।এবং সার্জারির ফল ভালো না হলে তারপর সেটা শুধরাতে একাধিক সার্জারি করিয়ে ভুক্তভোগী অনেকেই। সার্জারি করিয়ে কারা সুন্দরী তা নয় পরে জানাবো আজ জানাই তাদের কথা যারা এই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে নিজেদের আসল সৌন্দর্য্য নষ্ট করে ফেলেছেন । বেশি আকর্ষণীয় হতে গিয়ে তাদের চেহারা হয়েছে কুৎসিত ।আসুন জেনে নেওয়া যাক সেইসব তারকাদের নাম ।
আয়েশা টাকিয়া – এই অভিনেত্রী চাইল্ড আর্টিস্ট হিসাবে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন । যৌবনে পা রেখে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে তিনি বড় পর্দায় পা রাখেন ‘কভি সোচা না থা’ ছবির মাধ্যমে। তারপর ২০০৯ সালে ওয়ান্টেড ছবিতে সালমান খানের নায়িকা হিসাবে কাজ করে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি । আয়েশার শিশু সুলভ চেহারার জন্য দর্শকদের কাছে বেশ পছন্দের ছিলেন তিনি । আর এখানেই যেন তাঁর নক্ষত্র পতন। খ্যাতি এতটাই মাথায় চেপে বসে যে আরও-আরও সুন্দরী হতে সার্জারির আশ্রয় নেন। একাধিক সার্জারি করান নিজের শরীরে ও চেহারায় ।এবং যার ফল হয় বিপরীত। চেহারা বিভৎস খারাপ হয়ে যায় ।
কোয়েনা মিত্র – এই বঙ্গ তনয়া খুব একটা সুন্দরী না হলেও, তার টান টান ফিগারে তাকে সুন্দরী বলতে বাধা নেই । বেশ কিছু বলিউড মুভিতে কাজ করলেও তেমন অভিনয় ক্ষমতা দেখাতে পারেননি। তাঁর মনে হয় হয়তো রূপটাই তাঁর খ্যাতির প্রধান বাধা আর তাই নিজেকে বেশি সুন্দর করার জন্য তিনিও সার্জারির সাহায্য নেন। নিজের নাকের সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার ফল হয় ভয়ানক, একাধিকবার নিজের নোজ জব করান কিন্তু তাতে কোয়েনার চেহারার সঙ্গে সঙ্গে ক্যারিয়ারও রসাতলে যায়।
 
অনুষ্কা শর্মা – কিউট এবং বাবলি দেখতে এই নায়িকা ‘রব নে বনা দী জোরি ‘ তে বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের বিপরীতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ।কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে নিজের লিপ সার্জারি করে ট্রোলের শিকার হন । কফি উইথ করণের শো তে প্রথম বোঝা যায় তিনি লিপ সার্জারি করিয়েছেন । অনুষ্কার ঠোঁট পুরো ডোনাল্ড ডাকের মত লাগছিল । যদিও সার্জারির  কথা তিনি স্বীকার করেন নি। অবশ্য তিনি এই সার্জারির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কাটিয়ে ওঠেন। 
শ্রী দেবী – প্রয়াত অভিনেত্রী বলিউডের সেরা সুন্দরীদের মধ্যে অন্যতম হবার পরও তিনি একাধিক বার নাকের গঠন পাল্টেছেন। ওনার মৃত্যুর বেশ কিছুদিন আগে তিনি ঠোঁটের সার্জারি করিয়েছিলেন, যা ওনার শেষের দিকে কয়েকটি ছবিতে বেশ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল । এই সার্জারি ওনার আসল সৌন্দর্য্য নষ্ট করেছিল ।
 
হলিউডের ও এমন বহু তারকা আছেন যারা কোটি কোটি টাকা খরচ করেন নিজেদের আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ।অনেকের আবার সুন্দর মুখ থাকা সত্বেও শুধু সখের বশে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজেদের চেহারা ভয়ঙ্কর করে তুলেছেন।যেমন জোন ভ্যান আর্ক, মেখলা রমানিনি, দোনাতেল্লা ভারসাচে এমন বহু তারকা রয়েছেন। আবার এমন অনেকে আছেন যারা দ্রুত সুন্দরী দেখতে লাইপোসাকশন-এর মত পদ্ধতি গ্রহণ করতে গিয়ে অপারেশন থিয়েটার বা পরেই মারা গেছেন। যেমন দক্ষিণের খ্যাতনামা নায়িকা আরতী আগরওয়াল ,চেতনা রাজ্।