জন্ম নিল পৃথিবীর ৮০০ কোটিতম নাগরিক

ম্যানিলা, ১৬ নভেম্বর– মঙ্গলবারই পৃথিবী দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটিতে। আর সেই ৮০০ কোটিতম নাগরিকের জন্ম হল  ম্যানিলায় । ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় জন্ম নেওয়া এক শিশুকে ধরা হচ্ছে পৃথিবীর ৮০০ কোটিতম মানুষ হিসেবে। যদিও তা প্রতীকী অর্থেই। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে শিশুটি ও তার মায়ের ছবি।

গত ১২ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা ১০০ কোটি বেড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ভারত ও চিনের জনসংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আগামী বছরই নয়াদিল্লি প্রতিবেশী দেশের জনসংখ্যাকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে।

ফিলিপিন্সের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ম্যানিলার টন্ডোতে এক কন্যাসন্তানের জন্মের পর পৃথিবী এক নতুন মাইলফলক পেরল। একেই প্রতীকী ভাবে ৮০০ কোটিতম মানুষ ধরা হচ্ছে। ভিনিস নামের এই শিশুটিকে ১৫ নভেম্বর স্বাগত জানিয়েছেন নার্সরা।’

এদিকে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, এই নয়া মাইলফলক ইশারা করছে জনস্বাস্থ্যের প্রভূত উন্নতির দিকে। মৃত্যুহারকে কমিয়ে জীবনের সম্ভাবনা যে ক্রমশই বাড়ছে তাও পরিস্ফূট হচ্ছে। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও ঠিক যে, এবার সভ্যতাকে আরও সাবধানী হতে হবে। গ্রহের সমস্ত মানুষ যাতে সুরক্ষিত থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। আর তা শুরু করতে হবে সবচেয়ে বিপন্নদের দিয়েই।


রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের মধ্যেই ভারত জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে যাবে। অর্থাৎ আর মাত্র এক বছর। তারপরই ভারতের জনসংখ্যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়ে যাবে। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে ভারত এবং চিন দুই দেশের জনসংখ্যাই ১৪০ কোটির বেশি। ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন চিনের থেকে অনেক বেশি। সেকারণেই আগামী বছর চিনকে টপকে যাবে ভারত। শুধু ভারত নয়, গোটা পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। রাষ্ট্রসংঘের হিসাব বলছে, শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই গোটা বিশ্বের ২৯ শতাংশ মানুষ বাস করেন। আর পূর্ব এশিয়ায় বাস করেন বিশ্বের ২৬ শতাংশ মানুষ।