• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

প্রধান বিচারপতিকে ‘চ্যালেঞ্জ’-এর জরিমানা ৫ লক্ষ জরিমানা শীর্ষ আদালতের

দিল্লি, ১৪ অক্টোবর–হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণে নাকি ‘গলদ’ রয়ে গেছে৷ সেই ভুলকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি৷ এরপরেই ওই ব্যক্তির এহেন আচরণকে পুরোটাই সস্তায় নাম কেনার প্রচেষ্টা বলে দাবি করে দিয়ে পাল্টা তাঁকেই ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল সুপ্রিম কোর্ট৷ অশোক পাণ্ডে নামে ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন বোম্বে হাইকোর্টের

দিল্লি, ১৪ অক্টোবর–হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণে নাকি ‘গলদ’ রয়ে গেছে৷ সেই ভুলকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি৷ এরপরেই ওই ব্যক্তির এহেন আচরণকে পুরোটাই সস্তায় নাম কেনার প্রচেষ্টা বলে দাবি করে দিয়ে পাল্টা তাঁকেই ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল সুপ্রিম কোর্ট৷
অশোক পাণ্ডে নামে ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন বোম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণ ত্রুটিপূর্ণ৷ তাঁর অভিযোগ, সংবিধানের তৃতীয় তফসিল লঙ্ঘন করে শপথ গ্রহণের সময় বিচারপতি নিজের নামের আগে ‘আমি’ শব্দটি ব্যবহার করেননি৷ এছাড়া শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি দমন ও দিউ এবং দাদরা ও নগর হাভেলির সরকারের প্রতিনিধি এবং প্রশাসকদের৷ এরপরেই বোম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তিনি৷ তার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিওয়াই চন্দ্রচূডে়র একটি বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, বিচারপতিদের এই শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া চলে সরকারের তত্ত্বাবধানে৷ একবার তা হয়ে যাওয়ার পর তা নিয়ে আপত্তি তোলা যায় না৷
শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, আবেদনকারী এভাবে পিআইএল দাখিল করে নিজের দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন৷ রাজ্যপাল নিজে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন৷ সেই প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পর তা নিয়ে আপত্তি করার এক্তিয়ার নেই কারও, জানিয়েছে আদালত৷
ওই বেঞ্চের আরও দুই বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্র তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, এরকম অতি সামান্য বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা আসলে আদালতের সময় নষ্ট করা এবং বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে নজর ঘোরানোর সামিল৷ শুধু তাই নয়, তা বিচারবিভাগের পরিকাঠামো এবং লোকবল নষ্ট করে৷
আদালত আরও জানিয়েছে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে জরিমানার টাকা জমা না দেওয়া হলে লখনউতে জেলাশাসক এবং সংগ্রাহকের মাধ্যমে ভূমি রাজস্ব হিসেবে তা আদায় করা হবে ওই ব্যক্তির থেকে৷