মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব খারিজ ,৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে ‘ডাক্তার’ গড়া যাবে না 

কলকাতা, ১৬ মে — স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বছরের ডিপ্লোমা করে ডাক্তার তৈরী করার যে প্রস্তাব রেখেছিলেন। এবং এই প্রস্তাবের পর রাজ্যের সমস্ত চিকিৎসক সংগঠনের তরফেই আপত্তির সুর শোনা গেছিল। রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় রোগীর সংখ্যার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  প্রস্তাব রেখেছিলেন, ৫ বছরের বদলে ৩ বছরের কোনও ডিপ্লোমা কোর্স করিয়ে ডাক্তার তৈরি করা যাবে কিনা।

 নবান্নের রিভিউ মিটিংয়ে এই কথা বলার পরে মুখ্যমন্ত্রী একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথাও বলেন স্বাস্থ্য দফতরকে।সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে ১৫ জন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে কমিটি তৈরি করে। গতকাল, সোমবারই সেই কমিটির প্রথম বৈঠক বসে। এর পরে ওই কমিটির মত, তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করিয়ে ডাক্তার তৈরি করা যাবে না। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছনো নিয়ে যে সমস্যা, তার মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সহায়ক আরও বেশি করে তৈরি করতে হবে।

 এভাবে স্বল্প সময়ে ডাক্তার হওয়া বা ডাক্তারি করা যায় না। এভাবে কম পড়াশোনা করে কেউ ডাক্তার হয়ে গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশাল বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। একথা যেন ধরেই নেওয়া হবে, কম পড়াশোনা করা ডাক্তার দিয়েই গ্রামেগঞ্জের মানুষের চিকিৎসা চলতে পারে।

এর পরে এদিন কমিটিও জানিয়েছে, গ্রামেগঞ্জে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সহায়ক হিসেবে নতুন পদ তথা নতুন কোর্স তৈরি করা যেতে পারে। দেওয়া যেতে পারে বিশেষ প্রশিক্ষণ। প্রয়োজনে তাঁদের ‘হেল্থ‌ কেয়ার প্রোভাইডার’ বা ‘হেল্থ‌ কেয়ার প্রফেশনাল’ বলা যেতে পারে। কিন্তু ‘ডিপ্লোমা ডাক্তার’ শব্দবন্ধের উল্লেখ নেই কোথাও।