দিল্লি, ২৫ নভেম্বর– মন্ত্রিসভা তথা সরকারের কোনও মস্তিষ্কের নেতৃত্বে অযোগ্যদের চাকরিতে বহাল রাখার ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে তা জানতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায় বহাল রেখেছিলেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আপাতত স্বস্তি পেল রাজ্য।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যাঁরা ব্যতিক্রমী তথা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছিলেন বা যাঁদের মেধা তালিকার ক্রম ভেঙে চাকরি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের বরখাস্ত করার পক্ষে ছিল না সরকার। বরং এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে অতিরিক্ত ৫২৬১টি শূন্য পদ তথা সুপার নিউমেরি পদ তৈরি করা হবে। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে মেনে নেওয়া হবে।
Advertisement
আদালতে পেশ করা সরকারের সেই আবেদন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে সরকারকে ভর্ৎসনা করে তিনি বলেছিলেন, গোটা বিষয়টির নেপথ্যে কার মস্তিষ্ক রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে সিবিআই অবিলম্বে তদন্ত করবে। সেই সঙ্গে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে আদালতে তলব করেছিলেন বিচারপতি।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশ মোতাবেক শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন শুক্রবার তাঁর এজলাসে উপস্থিত হন। বিচারপতির প্রশ্নের জবাবও দেন। কিন্তু একই সঙ্গে ওই সময়েই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বেঞ্চে শুনানি হয়। সেই শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।
Advertisement
Advertisement



