বারামুলার উরিতে এনকাউন্টারে নিহত ৩ জঙ্গি , অনন্তনাগে জঙ্গি-সেনা এনকাউন্টার অব্যাহত

Written by SNS September 16, 2023 3:37 pm

বারামুলা, ১৬ সেপ্টেম্বর –  জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গি-সেনা এনকাউন্টার অব্যাহত। অনন্তনাগে চলা এই এনকাউন্টারের শনিবার চতুর্থদিন। এরই  মধ্যে শনিবার বারামুলার উরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে নতুন করে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে সেনার। ইতিমধ্যেই ৩ জঙ্গির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেনা সূত্রে খবর,  শনিবার ভোরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে হাথলানগায় নালা দিয়ে উরিতে ঢোকার চেষ্টা করছিল তিন জন জঙ্গি । কিন্তু সেই অনুপ্রবেশের সেই চেষ্টা বানচাল  করে দেয় সেনা। টুইটারে কাশ্মীর জোন পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে , ‘বারামুলা জেলার উরির হাথলানগায় জঙ্গি ও  সেনাবাহিনী এবং বারামুলা পুলিশের মধ্যে এনকাউন্টার হয়। ‘ তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলেও জানায় কাশ্মীর জোন পুলিশ। 

  সেনা সূত্রে খবর, তিন জঙ্গি শনিবার ভোরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে হাথলানগায় নালা দিয়ে গোপনে ঢোকার চেষ্টা করছিল। খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযানে নামে সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে জঙ্গিরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি  চালায় সেনা ও পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে। প্রথমে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়। তৃতীয় জঙ্গি গুরুতর জখম হয়। দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে জখম জঙ্গিরও মৃত্যু হয় বলে সেনা সূত্রের দাবি। ওই জঙ্গির দেহ উদ্ধার করতে যেতেই নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাক বাহিনীর চৌকি থেকে গুলি চালানো হচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর।

এর মধ্যে এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এনকাউন্টারের মধ্যেই তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সরকার।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকার গাদোলে শুরু হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই। সেনা এবং জঙ্গিদের এই সংঘর্ষে দুই সেনাকর্তা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডিএসপির মৃত্যু হয়। নিখোঁজ এক জওয়ান। সেই সংঘর্ষ এখনও থামেনি। জঙ্গিরা এই জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারিসূত্রে খবর, অনন্তনাগ জেলার গাদোলে কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে থাকার সুনির্দিষ্ট খবর আসে সেনাবাহিনীর কাছে। এরপরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা। এরপরই সেনা ও পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় এনকাউন্টার। জঙ্গলের মধ্যে কোথায় লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা, খুঁজতে ড্রোন ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। সেইসঙ্গে রকেট লঞ্চারও ব্যবহার করা হচ্ছে।সম্প্রতি হামলার একটি ড্রোন ফুটেজ সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোকেরনাগে ঘন জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিরা হয় লুকাচ্ছে কোনও গাছের আড়ালে, নয়তো পাহাড়ের গুহায়।মূলত এই জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল পাহাড়ের ওপর একটি গুহা। সেই গুহার এক পাশে রয়েছে গভীর খাদ ও অন্যপাশে ঘন জঙ্গল। সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। দুর্গম জঙ্গল ভেঙে জঙ্গিদের কাছে পৌঁছনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনীর কাছে। সূত্রের খবর, গত তিনদিন ধরে জঙ্গিরা যেভাবে সেনার ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাতে মনে করা হচ্ছে, বিশাল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা রয়েছে।