• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ভারত-পাকিস্তানে সহ ২২০ কোটি মানুষ পড়তে পারেন খরার কবলে

দিল্লি, ১০ অক্টোবর–  বর্তমানে মশুমের যা অবস্থা তাতে শুধু ভারত নয় প্রায় গোটা বিশ্বেই এখন গ্রীষ্মকালই প্রধান ঋতু৷ চরমে উঠেছে তাপপ্রবাহ৷ এই তাপপ্রবাহের কারণে বিগত কয়েক দশকে কয়েক হাজার মানুষের মৃতু্য হয়েছে৷ এই মৃতু্যর হিসেব দিয়ে সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে জানিয়েছে, আগামী কয়েক দশকে ভারতের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ এত তীব্র হয়ে উঠবে যে কার্যত ধ্বংসের সম্মুখীন

দিল্লি, ১০ অক্টোবর–  বর্তমানে মশুমের যা অবস্থা তাতে শুধু ভারত নয় প্রায় গোটা বিশ্বেই এখন গ্রীষ্মকালই প্রধান ঋতু৷ চরমে উঠেছে তাপপ্রবাহ৷ এই তাপপ্রবাহের কারণে বিগত কয়েক দশকে কয়েক হাজার মানুষের মৃতু্য হয়েছে৷
এই মৃতু্যর হিসেব দিয়ে সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে জানিয়েছে, আগামী কয়েক দশকে ভারতের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ এত তীব্র হয়ে উঠবে যে কার্যত ধ্বংসের সম্মুখীন হবে নাগরিক জীবন৷ তাপমাত্রা সহনশীলতার সীমা  ছাডি়য়ে যাবে৷ যা মারাত্মক আকার ধারণ করবে ভারত-পাকিস্তানের ক্ষেত্রে৷ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রায় ২২০ কোটি মানুষ৷
ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যেখানে কোনও ভাবেই আর মানিয়ে নিতে পারবে না মানুষ৷ পাশাপাশি, তীব্র খরা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে পুরো মাত্রায়৷
আবহাওয়াবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে জলবায়ু বদলই এর কারণ৷ এমন দাবদাহের জন্য দায়ী যথেচ্ছ দূষণ, গাছ কেটে নগরোন্নায়ন ও অত্যধিক তেজস্ক্রিয় বিকিরণ৷ ছ’টা ঋতুই যেন উধাও হয়ে গেছে ঋতুচক্র থেকে৷ ২০২৪ সালে আবার এল নিনোর ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রবল৷ এর জেরেই নাকি পৃথিবীর তাপমাত্রা চড়চড় করে বাড়বে৷ তীব্র তাপপ্রবাহ ছারখার করে দেবে সব, ফুটিফাটা হবে মাটি, শুকোবে জল, খরার হাহাকার দেখবে বিশ্ববাসী৷
মাস দুয়েক আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস সোসাইটির যৌথ রিপোর্টেও উষ্ণায়নের কারণে দক্ষিণ এশিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাপপ্রবাহের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল৷ তাতে বলা হয়েছিল, হর্ন অব আফ্রিকা তথা আফ্রিকার মূল মহাদেশীয় ভূখণ্ডের পূর্বতম অঞ্চল, সাহিল অঞ্চল (উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়াকে নিয়ে গঠিত অঞ্চল) এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়ায় তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি৷ এ বার দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারতকে নিয়ে একই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে৷ তাপপ্রবাহের রেশ পড়বে পাকিস্তানেও৷
প্রশান্ত মহাসাগরের চিলি ও পেরু উপকূল এবং মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলে তৈরি হওয়া সেই ‘এল নিনো’র জেরে এ বার ওলটপালট হয়ে যেতে পারে ভারতের বর্ষার মরসুম৷ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যেতে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ৷ এমন সবই সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে৷
২০১৫ পূর্ব ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে জন্মানো ‘এল নিনো’ বড়সড় প্রভাব ফেলেছিল ভারতের বর্ষার মরশুমে৷ প্রচণ্ড খরায় শুকিয়ে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু এলাকা৷ সে বছর সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমে গিয়েছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে৷ ২০০৯ সালেও এল নিনোর প্রভাবে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কষ্ট পেতে হয়েছিল দেশের মানুষজনকে৷ ২০০২ ও ২০০৪ সালের এল নিনো-র ততটা প্রভাব পডে়নি এ দেশে৷ তবে ২০২৪ সালে ফের এল নিনোর সতর্কতা জারি হয়েছে৷
খরা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাসের জন্য এল নিনো ছাড়াও অন্য অনেক কারণ রয়েছে৷ গাছ কেটে নগরোন্নয়নই কলকাতা সহ বাংলার খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণ৷ এই কারণেই কলকাতা এখন হিট-আইল্যান্ড হয়ে গেছে৷ 

Advertisement

Advertisement