• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অ্যামাজন, মাইক্রোসফটের নাম করে চলতো প্রতারণা ,সল্টলেকের কলসেন্টারের ১১ জন গ্রেফতার 

কলকাতা ,২২ ফেব্রুয়ারি — দীর্ঘদিন ধরে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে চলছিল জালিয়াতির ব্যবসা। সেই অফিস থেকে চালানো হচ্ছিল ভুয়ো কলসেন্টার। বহু নামিদামি কোম্পানির নাম ভাঙিয়ে ক্রেতাদের পরিষেবা দেওয়ার নাম করে ভুঁয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশীদের কাছ থেকে অর্থ তুলতো এই কল সেন্টার।বেশিরভাগ  অ্যামাজ়ন-মাইক্রোসফটের মতো নামী বহুজাতিক সংস্থার নাম করে বিদেশিদের থেকে অর্থ তুলতো । বেশ কিছুদিন ধরে

কলকাতা ,২২ ফেব্রুয়ারি — দীর্ঘদিন ধরে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে চলছিল জালিয়াতির ব্যবসা। সেই অফিস থেকে চালানো হচ্ছিল ভুয়ো কলসেন্টার। বহু নামিদামি কোম্পানির নাম ভাঙিয়ে ক্রেতাদের পরিষেবা দেওয়ার নাম করে ভুঁয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশীদের কাছ থেকে অর্থ তুলতো এই কল সেন্টার।বেশিরভাগ  অ্যামাজ়ন-মাইক্রোসফটের মতো নামী বহুজাতিক সংস্থার নাম করে বিদেশিদের থেকে অর্থ তুলতো ।

বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশের নিশানায় ছিল এই প্রতারক কোম্পানি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কলসেন্টারটির নাম উই কেয়ার সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের ডিএন-২ ভবনের ন’তলায় ছিল উই কেয়ারের অফিস।সেখানে কাজ করছিলেন ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সি যুবকেরা। অ্যামাজ়ন-মাইক্রোসফটের মতো নামী সংস্থার গ্রাহক পরিষেবা দেওয়ার নামে এঁরা ক্রেতাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটারে সফ্‌টওয়্যারের মাধ্যমে ঢুকে পড়তেন এবং সেখান থেকে সমস্ত ডেটা চুরি করে নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন এবং বাধ্য করতেন অর্থমূ্ল্য দিতে।

এই কোম্পানির মাথায় ছিলেন ডিরেক্টর সুমিত মাঝি এবং হাফিজুর রহমান সর্দার। মূলত ২০২০ সাল থেকে চলছিল এই জালিয়াতি। মূলত আমেরিকা, স্পেনে থাকা বিদেশিরাই ছিলেন এই ভুয়ো কলসেন্টারের কর্মীদের শিকার। গত বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই কলসেন্টারে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কলসেন্টার চালানোর কোনও বৈধ নথি বা চুক্তিপত্রই দেখাতে পারেনি সুমিত এব‌ং হাফিজুর। এর পরই গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো কলসেন্টারের দুই ডিরেক্টর-সহ ১১ জনকে। এ ছাড়া ওই কলসেন্টার থেকে ৩৫টি কমপিউটার, ১৪টি স্মার্টফোন, পাঁচটি হার্ড ডিস্ক-সহ আরও বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

Advertisement

Advertisement