• facebook
  • twitter
Friday, 1 August, 2025

যে বই পড়বই: ‘বিজ্ঞান-অন্বেষক’ করার প্রয়াস পড়ুয়াদের

৩২ পাতার পত্রিকাটিতে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) রয়েছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং ভারতীয় বৈজ্ঞানিকের জীবনী সম্পর্কিত প্রবন্ধ এবং রচনা।

ফাইল ছবি

“যাঁরা বলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা হয় না; তাঁরা হয় বাংলা জানেন না, নয় বিজ্ঞান বোঝেন না” – বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর এই বিখ্যাত উক্তিটি দিয়ে বিজ্ঞান অন্বেষক পত্রিকার এবারের সম্পাদকীয় ‘সুভাষিতম’ শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, দ্বিমাসিক এই পত্রিকাটি ২২ বছরে পদার্পণ করল। ৩২ পাতার পত্রিকাটিতে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রয়েছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং ভারতীয় বৈজ্ঞানিকের জীবনী সম্পর্কিত বেশ কিছু উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ এবং রচনা।

বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি জানা যেমন জরুরি, ঠিক ততটাই প্রয়োজন মানুষের বোধে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার। এই বিজ্ঞানমনস্কতাকে যদি ছোটবেলা থেকেই শিশু-কিশোর পড়ুয়াদের সঙ্গী করে দেওয়া যায়, তা হলে ভবিষ্যতে আমাদের সমাজ অনেক বেশি পরিবেশ ও মানব-বান্ধব হয়ে উঠবে। এমনকি আমাদের সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতার উপর সব থেকে বেশি জোর দেওয়া আছে। বিজ্ঞানমনস্কতা প্রসারের জন্য রাষ্ট্রের ভূমিকার কথাও বলা রয়েছে সেখানে।

এবারের সংখ্যায় বর্তমান সময়ের নোবেল-বিজয়ীদের কাহিনী নিয়ে পাঁচটি রচনা রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের নোবেল নিয়ে লিখেছেন তুষারকান্তি নাথ, রসায়ন নিয়ে তপন দাস, পদার্থবিদ্যা নিয়ে অনিন্দ্য দে, শান্তি নিয়ে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এবং অর্থনীতির নোবেল প্রাপককে নিয়ে লিখেছেন অর্কজিৎ সেন। মাইক্রোপ্লাস্টিকে নীল তিমিসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণিদের জীবন বিপন্ন হওয়ার উপর একটি তথ্যনির্ভর প্রবন্ধ লিখেছেন রাহুল রায়। মালবিকা দে গুগল এবং ইন্টারনেটের বহুবিধ ব্যবহার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কৌতূহল-উদ্দীপক রচনা লিখেছেন “কত অজানারে জানাইলে তুমি” শিরোনামে। সমুদ্রের তলদেশে যে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তার খোঁজ নিয়েছেন প্রবীর বসু ‘সাগরতলের সন্ধানে’ নামাঙ্কিত প্রবন্ধে।

বৃহত্তর গোবরডাঙ্গা অঞ্চলের পরিচিত বিজ্ঞান-আন্দোলনকর্মী রেখা দাঁকে স্মরণ করেছেন দীপাঞ্জন দে। পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী প্রয়োজনীয় ছবি ও গ্রাফিক্সের ব্যবহারে প্রত্যেকটি রচনা এবং প্রবন্ধকেই বেশ আকর্ষক করে তুলেছেন সাধারণ পাঠক ও পড়ুয়াদের কাছে। বিজ্ঞানে আগ্রহী চাকরি-প্রত্যাশীরাও উপকৃত হতে পারেন এই পত্রিকা থেকে। তৃতীয় প্রচ্ছদে ছাত্র-ছাত্রীদের প্যাস্টেল ও জলরঙে আঁকা রঙিন ছবিগুলিও বিজ্ঞান-সচেতনতা প্রকাশ করে। কাঁচরাপাড়া ইন্ডিয়ান গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তৃষা বারুইয়ের ‘জলদূষণ’ নিয়ে ছবিটি নজর কাড়ে।

বিজ্ঞান অন্বেষক, (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি, ২০২৫),
সম্পাদক: প্রবীর বসু,
প্রকাশক: জয়দেব দে,
মূল্য: ২০ টাকা।

News Hub