সুদেষ্ণা মৈত্র
(অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা, গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুল, কলকাতা)
Advertisement
মাধ্যমিক এসে গেল। সব বিষয় খুব ভালো করে পড়বে। নিজেদের পড়তে ইচ্ছা না করলে বাড়ির বড়োরা পড়বেন তোমরা শুনবে। তবে নিজের পড়াই ভালো। চোখে পড়বে শব্দগুলো। তখনই বানান মনে থাকবে।
একটা সাদা পাতায় লেখকের নাম আর গদ্য বা নাটকের নাম লিখে রাখবে। তারপর কবি ও কবিতার নাম লিখবে। যখনই পড়তে বসবে ওই লেখাগুলো দেখে নেবে।
Advertisement
ব্যাকরণ সমাসে কর্মধারয় সমাস মনে রাখবে। পরীক্ষার হলে বহুব্রীহি সমাসের ভাগগুলোর নাম মনে না পড়লে শুধু বহুব্রীহি লিখে দেবে। নঞ তৎপুরুষ সমাস ও নঞ বহুব্রীহির তুলনা, দ্বিগু ও কর্মধারয় সমাসের তুলনা, উপমান কর্মধারয় ও উপমিত কর্মধারয়ের পার্থক্য ভালো করে পড়বে। প্রত্যকটি পার্থক্য লিখে উদাহরণ দেবে।
‘অভিষেক’ কবিতাটি বারবার পড়বে।মধুসূদন দত্ত (স+ঊ= সূ মনে রাখবে)’ অভিষেক’ (ষ হবে), দশাননাত্মজ বানানটি মনে রাখবে। আত্মজ (এখানে ‘ম’ এর উচ্চারণ হচ্ছে না কিন্তু ‘ম’ না লিখলে চলবে না। ঠিক করে লিখবে। ‘বীর’ শব্দটি এই কবিতায় অনেকবার ব্যবহৃত হয়েছে। মনে রাখবে ব+ঈ= ‘বী’ [যিনি শক্তিশালী, অপরাজেয় সেই বীর। তাই উচ্চারণ হবে জোর দিয়ে তাই ঈ-কার হচ্ছে]
শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতায়’ মুহূর্ত শব্দটি দেখো। [প্রথমে উ-কার, তারপর ঊ-কার আবার উ-কার। মাঝে আছে রেফ। (হূ পরে ছোটোর উচ্চারণ হচ্ছে। যেখানে হ+ঊ=হূ পরে ছোটো ‘র’ উচ্চারিত হচ্ছে বলে তার পরের বর্ণে ‘ত’-এর মাথায় রেফ বসবে। পড়ার সময় রেফ দেওয়া শব্দগুলো ভালো করে দেখবে। পৃথিবী (ঋ কার, ই-কার, ঈ-কার)। ‘আফ্রিকা’ কবিতা যখন পড়বে খুব মন দিয়ে শব্দগুলি দেখবে। পৃথিবীর সমার্থক শব্দ ধরিত্রী বানানটি খেয়াল করবে। বিদ্রূপ (দ্র+ ঊ-কার)। স্রষ্টা কখনই স্রষ্ঠা লিখবে না। ষ+ সঙ্গে ট/ঠই বসে মনে রাখবে।
মনে রাখতে হবে যুক্ত বর্ণে ন+ত=ন্ত, ণ+ ট+ ণ্ট ঞ+চ/ছ = হবে ঞ্চ/ ঞ্ছ। জ+ ঞ=জ্ঞ/ ঞ+জ= ঞ্জ হবে। পরিষ্কার, আবিষ্কার বানানে ষ্ক হবে আর তিরস্কার, পুরস্কার, নমস্কারে স্ক হবে।
ক্রিয়াপদে পৌঁছান আর দৌড়ান ছাড়া ঔ-কার দিয়ে কোনো ক্রিয়াপদ নেই। ক্রিয়াপদে ই-কার আছে ঈ-কার নেই। বারবার রিডিং দেবে। ছবির মতো শব্দগুলো মাথায় বসে যাবে। নিশ্চয়ই ভালো পরীক্ষা হবে।
Advertisement



