• facebook
  • twitter
Saturday, 14 December, 2024

২০১৭ সালে টেটের ওএমআর শিটের ডিজিটাইজড কপি তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন, কলকাতা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে টেট মামলা। এদিন মামলার শুনানির সময় গত ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সমস্ত ‘ডিজিটাইজড কপি’ তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৪ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ওই ওএমআর শিটের কপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গেল

মোল্লা জসিমউদ্দিন, কলকাতা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে টেট মামলা। এদিন মামলার শুনানির সময় গত ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সমস্ত ‘ডিজিটাইজড কপি’ তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৪ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ওই ওএমআর শিটের কপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের টেটেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। টিনা মুখোপাধ্যায় নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, ২০১৭ সালের টেটে অকৃতকার্য হওয়ার পর তিনি পর্ষদের কাছে ওএমআর শিটের কপি পেতে চেয়ে আবেদন জানান। অভিযোগ, পর্ষদের তরফে আসল ওএমআর শিটের বদলে তাঁকে ওএমআর শিটের একটি ফটোকপি দেওয়া হয়। এরপর মামলাকারীর আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টে বলেন,’ তাঁর মক্কেলকে ওএমআর শিটের যে কপি দেওয়া হয়েছে, সেটি আদৌ তাঁর নয়’।

প্রসঙ্গত, এই মামলায় এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, ‘তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সমস্ত ওএমআর শিটের আসল কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।’ যে রেজুলেশনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তার যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৎকালীন বেঞ্চের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পরে ওই মামলাটি বিচারপতি মান্থার এজলাস থেকে বদলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এসেছে।আদালতের নির্দেশ মেনে রেজলিউশনের কপি জমা দিয়েছে পর্ষদ। আর তাতেই উল্লেখ রয়েছে পর্ষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হলেও তার হুবহু ডিজিটাইজড কপি রেখে দেওয়া হবে।

এরপরই ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সমস্ত ‘ডিজিটাইজড কপি’ তলব করেছেন বিচারপতি। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে উচ্চ প্রাথমিক মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে আদালত। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে ধরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সাত বছর শুনানি চলেছে উচ্চ প্রাথমিক মামলার। সেজন্য এই মামলার রায়দানের দিকে তাকিয়ে অনেকেই।