ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-স্কুল অফ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাপজেমিনির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের ঘোষণা করেছে। এই সহযোগিতার লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও প্রযুক্তি রূপান্তরের মাধ্যমে শিল্প-অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা জোরদার করা ও শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মজীবনের সুযোগ বাড়ানো।
আইইএম-ইউইএম গ্রুপের সভাপতি অধ্যাপক বনানী চক্রবর্তী, পরিচালক অধ্যাপক (ড.) সত্যজিৎ চক্রবর্তী, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেলের পরিচালক শ্রীমতী গোপা গোস্বামী, ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক (ড.) সজল দাশগুপ্ত, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক (ড.) সুকল্যাণ গোস্বামী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দেবযানি রায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সংস্থার ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেলের অধিকর্তা শ্রী অভিক চ্যাটার্জি, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট-ইন্ডিয়া, ক্যাপজেমিনি, শ্রী মনীশ মেহতা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-ইন্ডিয়া, ক্যাপজেমিনি এবং অন্যান্য ক্যাপজেমিনি আধিকারিকদের মধ্যে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় ।
স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রটি উদ্ভাবনী শিক্ষার অভিজ্ঞতা ও পেশাদার এক্সপোজারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিল্প-অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া জোরদার করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।
এই সমঝোতাপত্রের লক্ষ্য হল –
১. জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং গবেষণা বিষয়ক উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্প-অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা জোরদার করা।
২. দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, মেন্টরশিপ এবং ইন্টার্নশিপের সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।
৩. বাস্তব-বিশ্বের ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।
৪. শিল্পের মানগুলির সঙ্গে অ্যাকাডেমিক সামঞ্জস্য করতে আনুষঙ্গিক উন্নয়ন কর্মসূচিগুলিকে সহজতর করা।
আইইএম-ইউইএম গ্রুপের অধিকর্তা অধ্যাপক (ড.) সত্যজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের ছাত্রছাত্রীদের শিল্পের অভিজ্ঞতা এবং পেশাদার দিক নির্দেশনার জন্য ক্যাপজেমিনির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই সমঝোতাপত্রটি একটি আশাব্যঞ্জক যাত্রার সূচনা করে, যা শেখার ও কর্মজীবনের বৃদ্ধির জন্য নতুন পথ উন্মুক্ত করবে।’
এই সহযোগিতার বিষয়ে ক্যাপজেমিনির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিক চ্যাটার্জি বলেন, ‘ক্যাপজেমিনিতে আমরা তরুণ প্রতিভাদের গুরুত্ব দিতে এবং তাদের নিত্য-বিবর্তিত ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইইএম-এর সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব শিল্প ও অ্যাকাডেমির মধ্যে ব্যবধান দূর করবে, সেই সঙ্গে উদ্ভাবনী চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করবে এবং ভবিষ্যতের কর্মদক্ষতার জন্য শিক্ষার্থীদের আরও ভালভাবে প্রস্তুত করবে।’