বাঁকুড়া জেলার অন্যতম শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গোবিন্দ প্রসাদ মহাবিদ্যালয় সম্প্রতি জাতীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পরিষদ (NAAC)-এর মূল্যায়নে বি প্লাস প্লাস (B++) গ্রেড অর্জন করেছে, যা কলেজটির জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। এই সাফল্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. তুষার কান্তি হালদার “কলেজ পরিবারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল” এবং “সমস্ত ছাত্রছাত্রী ও কর্মীদের জন্য গর্বের বিষয়” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ন্যাক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অত্যন্ত নির্দিষ্ট ও দৃষ্টিপূর্ণ এবং এর আওতায় কলেজটির শিক্ষার মান, পরিকাঠামো, গবেষণার সুযোগ, ছাত্রছাত্রীদের বিকাশ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো মূল্যায়িত হয়। কলেজটি এর আগে বি প্লাস গ্রেড পেয়েছিল, তবে এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে বি প্লাস প্লাস গ্রেড অর্জন করে শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
অধ্যক্ষ তুষার কান্তি হালদার জানিয়েছেন, “এই গ্রেড আমাদের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং কর্মীদের একনিষ্ঠ পরিশ্রমের প্রতিফলন। আমরা ভবিষ্যতে মহাবিদ্যালয়কে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাব।”
মহাবিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গুণমান নিশ্চিতকরণ কক্ষের (IQAC) সমন্বয়কারী অধ্যাপক পরিমল সরেন জানিয়েছেন, “এই অর্জনের ফলে আমাদের কলেজে নব উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং আমরা আরও ভালো করার জন্য একত্রে কাজ করছি।” বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রূপ কুমার বর্মন মহাবিদ্যালয়কে এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই গ্রেড কলেজটির শিক্ষা ও উন্নতির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হৃদয় মাধব দুবে জানান, সমিতির অন্যান্য সদস্য, অভিভাবক, স্টাফ কাউন্সিল-সহ প্রশাসনের সহযোগিতায় এই কলেজের সার্বিক উন্নতি যে সঠিক ভাবেই হচ্ছে, ন্যাকের মূল্যায়নই তার প্রমাণ। এই অর্জন গোবিন্দ প্রসাদ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার উচ্চমানকে আরও সুদৃঢ় করেছে এবং ভবিষ্যতের সাফল্যের পথ প্রশস্ত করেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে শিক্ষার মান ও সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে কলেজের অধ্যক্ষ জানান, কলেজের আরো শ্রেণিকক্ষ এবং স্থায়ী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রয়োজন। সায়েন্স ও আর্টস বিভাগের আরও কিছু বিষয় এবং স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালুর চালুর দাবিও আছে। প্রয়োজন স্টাফ কোয়ার্টার, ছাত্র হোস্টেল ও কয়েকটি পরীক্ষাগারও।আগামীতে জেলার উচ্চশিক্ষা প্রসারে এই মহাবিদ্যালয় অগ্রনী ভূমিকা নেবে বলেই এলাকার মানুষ মনে করেন।