• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

শিক্ষার অধিকার ক্রমেই প্রহসনে পরিণত হচ্ছে

বেসরকারি স্কুলে পাঠিয়েই অভিভাবকদের খরচ শেষ হয় না। স্কুল ফি-র পাশাপাশি তাঁদের মোটা অর্থ ব্যয় করতে হয় প্রাইভেট টিউশনেও।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

শোভনলাল চক্রবর্তী

সারা দেশেই দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ছে। কমছে সরকারি স্কুলে। সরকার বা সরকারপোষিত স্কুলগুলিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক এবং এটি তাদের মৌলিক অধিকার। এর সঙ্গে আছে বিভিন্ন সরকারি অনুদান— ব্যাগ, বই, খাতা, পোশাক, সর্বোপরি মিড-ডে মিল, যার একটিও মেলে না বেসরকারি স্কুলে। উপরন্তু তাদের বাৎসরিক ফি বেড়ে চলে লাফিয়ে লাফিয়ে। তবু কিসের টানে অভিভাবকেরা ছুটে চলেছেন সে দিকে? কারণ, সেখানে মিলছে সময়োপযোগী শিক্ষা। বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক পরিকাঠামোয়, ব্যক্তিগত নজরদারিতে, পরিশ্রমী ও দায়বদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদান পড়ুয়াদের এগিয়ে দিচ্ছে অনেকটা।

Advertisement

সেই জন্যই একেবারে শৈশব থেকেই ঘরের পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে বাবা-মায়েরা ছুটছেন বেসরকারি স্কুলে। ভীষণ পরিতাপের বিষয়, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগেও অনেক অঙ্গনওয়াড়ি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই! কিছু কিছু জায়গায় স্থানীয় উদ্যোগে এ সমস্যার সমাধান হলেও তা ব্যতিক্রম। ফলে সকালের দু’-তিন ঘণ্টা পাখাহীন ঘরে, কয়লা ধোঁয়ার দূষণে থাকতে বাধ্য হয় শিশু এবং শিক্ষিকারা। শিক্ষা তো দূরের কথা, এমন ভাবে স্বাস্থ্য ঠিক থাকাটাই তো দুরাশা।

Advertisement

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা আরও সঙ্গিন। সংবাদপত্রে প্রকাশ, স্কুলবাড়ি থাকলেও শিক্ষকের অভাব তীব্র। মাত্র দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বাধ্য হচ্ছেন পাঁচটি শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ানোর দায়িত্ব নিতে। ছুটছেন এ ক্লাস থেকে ও ক্লাসে। তার মাঝেই রয়েছে হরেক সরকারি দায়িত্ব ও মিড-ডে মিল। এ ভাবে পাঠদান সম্ভব? উচ্চ বিদ্যালয়গুলিতেও বিভিন্ন ‘শ্রী’যুক্ত পরিষেবা প্রদানে বছরভর শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিযুক্ত থাকতে হয়। অনিয়মিত সরকারি অনুদান, অথচ ভর্তি ফি বেশি নেওয়ার আইন না থাকায়, আর্থিক সঙ্কটে ভোগে বেশির ভাগ স্কুল। আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ, স্কুলের পরিচ্ছন্নতা ও পরিকাঠামো ঠিকঠাক রাখার খরচ সামলাতে জেরবার হন কর্তৃপক্ষ। তার উপর নির্বাচন ও হরেক সরকারি ক্যাম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পঠনপাঠন। ফলে, অবৈতনিক শিক্ষা হয়ে দাঁড়ায় সোনার পাথরবাটি। গৃহশিক্ষকতা-নির্ভর ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়কে ব্যবহার করে কেবল সরকারি সুবিধা পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে।বহু জাতি অধ্যুষিত আমাদের দেশে সর্বজনীন শিক্ষা একমাত্র সরকারি ব্যবস্থাতেই সম্ভব। অন্যথায় ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দূর করা যায় না। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’তে প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষাকে আবশ্যিক করতে তিন বছর থেকে শিশুদের শিক্ষাদান শুরু করতে বলা হয়েছে এবং তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে। এর জন্য কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো তৈরি, কর্মীদের প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে। অথচ পাঁচ বছরে কিছুই হল না। এ অবস্থায় অভিভাবকরা সরকারি এই বেহাল ব্যবস্থার উপর নির্ভর করবেন, না কি পাড়ায় গজিয়ে ওঠা স্কুলগুলিতে ভিড় করবেন? কয়েক বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ, অপরিকল্পিত এবং ইচ্ছা অনুযায়ী বদলির ফলে বহু স্কুলে বিষয়-শিক্ষক নেই। ফলে স্কুলগুলির শিক্ষণ প্রক্রিয়া ভেঙে পড়েছে। কিন্তু দু’টি সম্পাদকীয়তেই একটা জরুরি বিষয় অনুল্লিখিত থেকে গিয়েছে— সরকারি স্কুলে দীর্ঘ সময় পাশ-ফেল না থাকা। এর ফলে ধীরে ধীরে লোকচক্ষুর আড়ালে শিক্ষার মানের অবনমন আজ এই পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে।অভিভাবকরা বিলক্ষণ জানেন, সন্তানকে সমাজে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার পেতে হলে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তাই তাঁরা সে বিষয়ে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখতে চান না। আর এই কারণেই ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোঁজ প্রত্যেকে করে থাকেন। কিন্তু সরকারি উদাসীনতার কারণে এ দেশে শিক্ষাক্ষেত্রটি আজ ব্যবসাক্ষেত্রে পরিণত। যিনি যেমন খরচ করতে পারবেন, তিনি তেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেছে নিয়ে সন্তানকে শিক্ষা দিতে পারবেন। এতে সংবিধান স্বীকৃত শিক্ষার অধিকারের প্রশ্ন উপেক্ষিত। সাধারণ মানুষ অসহায়, দিশাহারা।

বেশির ভাগ দেশেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপর ন্যস্ত। তবে রাষ্ট্র যখন সে দায় অস্বীকার করে বা দায়সারা ভাবে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করে, তখন সন্তানের শিক্ষার দায় মা-বাবাকেই নিতে হয়। ‘আর্থিক সমস্যা স্বীকার করেও’ সরকারি স্কুলের তুলনায় ন’গুণ বেশি ফি গুনতে তাঁরা রাজি হয়ে যান। কিন্তু, সাধ্যাতীত টাকা খরচ করার পরেও সেই সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সব সময় সম্পূর্ণ হয় না। ঘাটতি পূরণের জন্য গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা করতে হয়। অথচ, কয়েক দশক আগেও গৃহশিক্ষকতার বাজারের এমন রমরমা ছিল না। তখন শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাই শিক্ষার্থীদের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু এখন সে সুযোগ নেই। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজে বার করা কঠিন।
শিক্ষা সভ্যতার পিলসুজ। সুপরিকল্পিত শিক্ষাব্যবস্থাই পারে দেশকে সুনাগরিক উপহার দিতে। এই কারণেই বিশ্বের প্রতিটি উন্নত দেশে, শিক্ষকতার কাজে উচ্চশিক্ষিতদের নিয়োগ করা হয়। এই কাজে ফাঁকি থাকলে দেশ কখনও এগিয়ে যেতে পারবে না। তা ছাড়া, শিক্ষার্থীর মেধা কখনও পরিবারের আর্থিক সঙ্গতির উপর নির্ভর করে না। তাই বিদ্যালয়-শিক্ষার সুযোগটা যাতে সকলে অবৈতনিক ভাবেই পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আমাদের দেশেও এত দিন বিদ্যালয়-শিক্ষা ও উচ্চতর শিক্ষার অনেক সুযোগ সকলে সমান ভাবে পেতে পারত। এখন সে সুযোগ ক্রমাগত কমছে। বাড়ছে বৈষম্য। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসায় যোগ্যদের শিক্ষকতার কাজে নিয়োগের জন্য আদালতের বিচারকদের নির্দেশ দিতে হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ-পদ্ধতির ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড না থাকায় সেখানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মান নিয়ে কেউ কোনও প্রশ্ন তোলার সুযোগই পান না।

এই পরিস্থিতিতে সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে যে ব্যাধিগুলি দেখা যাচ্ছে, সেইগুলি দিনের পর দিন চলতে থাকবে। তাতে আগামী প্রজন্ম অশিক্ষার গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যেতে খুব বেশি দিন সময় নেবে না।আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্বল্পসংখ্যক মানুষকে নিয়ে প্রবল বাধার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এ দেশের আধুনিক শিক্ষা গড়ে তোলার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন, অর্থ সংগ্রহ করেছেন, অর্থবান মানুষদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন জমি দান করার অনুরোধ নিয়ে। সেই পথ ধরেই এ দেশের আধুনিক শিক্ষার ভিত্তিটা তৈরি হয়েছিল। স্বাধীন দেশের উন্নতির বনিয়াদ গড়ে উঠেছিল সে দিনেরই আলোর মানুষদের কঠোর পরিশ্রমে। আজকের আমলা-নির্ভর শিক্ষা-কাঠামো শিক্ষার অভিমুখটাকে দাঁড় করিয়েছে সরকারি ব্যবস্থাকে ভেঙে কর্পোরেট শিক্ষা-বাজার তৈরি করার দিকে।প্রশাসনিক ব্যক্তিদের পরিশ্রমহীন বিকল্পের ভাবনার কারণে সরকারি স্কুলগুলি ধুঁকছে। পুরাতন জমিদারের বসতবাড়ির মতো রাজ্যে হাজারো স্কুল ছাত্রস্বল্পতায় ভুগছে নজরদারির অভাবে। প্রশাসনও হয়তো সুযোগ খুঁজছে, কী করে স্কুলের জমিগুলিকে হস্তগত করে বেসরকারিকরণের পথ খুলে দেওয়া যায়। তবে এর শুরুটা হয়েছিল তারও অনেক আগে, পূর্বতন সরকারের জমানায়। যখন সরকারি স্কুলে ইংরেজি ও পাশ-ফেল তুলে দেওয়া হয়। সে দিন ব্যাঙের ছাতার মতো ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গজিয়ে উঠেছিল। ইংরেজি ও পাশ-ফেলহীন সরকারি স্কুল থেকে ব্যর্থমনোরথ ছাত্ররা ভিড় করেছিল হঠাৎ গজিয়ে ওঠা বেসরকারি স্কুলগুলোতে। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত শিক্ষা পরিচালন সংস্থাগুলিকে ভেঙে দিয়ে সে দিনও এই বিকল্প সাজিয়েছিলেন প্রশাসন ও কর্তাব্যক্তিরা। আজ সেই ভাবনা ও কাজের বহরটা বেড়েছে। আসল কথা, সরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে অকার্যকর না করলে যে খোলা যাবে না কর্পোরেট শিক্ষা-বাজার!শিক্ষাই যে সামাজিক চলমানতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়ুধ, সে কথাটি এমনকি অনতিশিক্ষিত অভিভাবকরাও বিলক্ষণ জানেন। কিন্তু, সন্তানের জন্য সে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে অভিভাবকদের কতখানি ‘মূল্য’ চোকাতে হয়, ধরা পড়ল সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। কম্প্রিহেনসিভ মডিউলার সার্ভে: এডুকেশন ২০২৫ (এপ্রিল-জুন) দ্বারা সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, দেশ জুড়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের তুলনায় ন’গুণ বেশি ফি গুনতে হয়। এই মুহূর্তে এটি শিক্ষাক্ষেত্রের একটি চেনা ছবি।

বিশেষত, বিষয়টির সঙ্গে বিলক্ষণ পরিচিত এই রাজ্যের অভিভাবকরা। অথচ, সরকারি স্কুলের পড়ার খরচ তুলনায় অনেক কম হলেও এবং সেখানে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মিললেও বেসরকারি স্কুলের জনপ্রিয়তা এমন ঊর্ধ্বমুখী কেন? কারণ, প্রচলিত ধারণা— সরকারি স্কুলে লেখাপড়া হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিকাঠামোগত খামতি ছাড়াও অব্যবস্থা, দুর্নীতি, শিক্ষকদের কাজের পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের অভাব এবং সর্বোপরি সরকারি উদাসীনতা এই স্কুলগুলিকে দুর্বল করেছে। এমতাবস্থায়, ভাল শিক্ষা, নিয়মানুবর্তিতা, ইংরেজি শিক্ষার আশায় বেসরকারি স্কুলের দিকে অভিভাবকরা ঝুঁকছেন, আর্থিক সমস্যা স্বীকার করেও।

তবে বেসরকারি স্কুলে পাঠিয়েই অভিভাবকদের খরচ শেষ হয় না। স্কুল ফি-র পাশাপাশি তাঁদের মোটা অর্থ ব্যয় করতে হয় প্রাইভেট টিউশনেও। দুর্ভাগ্য, বহু কাল যাবৎ এ রাজ্য একটি ঐতিহ্য প্রচলিত— স্কুল শুধু নাম লেখানোর জন্য, পড়াশোনা হয় মূলত প্রাইভেট টিউটরের কাছেই। বস্তুত, স্কুলশিক্ষায় ইউনিট টেস্ট ও প্রোজেক্ট ওয়ার্ক এখন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এর মূল্যায়নের সঙ্গে স্কুলশিক্ষকদের সরাসরি যোগ থাকায় অধিকাংশ অভিভাবকই মনে করেন, তাঁদের কাছে ছেলেমেয়েদের আলাদা করে পড়তে পাঠালে সুবিধা হবে, নম্বর পাওয়া যাবে বেশি। আবার, বহু স্কুলশিক্ষক এই সুযোগের ষোলো আনা ‘সদ্ব্যবহার’ করেন। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। এ ক্ষেত্রে প্রাইভেট টিউশনের বাজারটি অসম। ফলে কারও কাছেই নিখুঁত তথ্য থাকে না যে কোন শিক্ষক সত্যিই ভাল পড়ান, কে নন। বরং, পুরোটাই নির্ধারিত হয় কার কাছে কত ছাত্রছাত্রী পড়তে যাচ্ছে এবং তিনি কত বেতন নিচ্ছেন, তার উপরে। এমতাবস্থায় এই তথাকথিত ‘ভাল’ শিক্ষকদের কাছে সেই অভিভাবকরাই তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠাতে পারেন, যাঁদের সেই খরচ বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। এর ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রকট হচ্ছে বৈষম্য, যা সামাজিক অসাম্যকে আরও ভয়ানক করে তুলছে।

স্কুলের বাইরে যদি সব শিক্ষার্থীকে আলাদা করে সময় ও অর্থ দিয়ে পড়তে হয়, তার মানে সরকারি, বেসরকারি নির্বিশেষে কোনও স্কুলেই লেখাপড়া হয় না, শিক্ষকেরা ঠিকমতো পড়ান না। কেন এই পরিস্থিতি? শিক্ষাব্যবস্থায় পরিকাঠামো এবং সার্বিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যেখানে শিক্ষার্থীরা স্রোতের মতো প্রাইভেট টিউশনের জন্য দৌড়বে না, সমস্ত চাহিদা মিটবে শিক্ষাকেন্দ্রেই। বর্তমানে তা হচ্ছে কই? তাই, স্কুলশিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন আসলে শিক্ষাক্ষেত্রে মুশকিল আসান, না কি ঝোপ বুঝে কোপ— এই প্রশ্ন আলোচিত হওয়া দরকার। না হলে, পড়ুয়াদের শিক্ষার ‘অধিকার’ এই শিক্ষকদের হাতে ক্রমে এক প্রহসনে
পরিণত হবে।

Advertisement