• facebook
  • twitter
Wednesday, 21 May, 2025

নব শ্রম আইনে ধর্মঘট করা যাবে না, কিন্তু কাজ করতে হবে ১৪ ঘণ্টা

১৮৮৪ সালের অক্টোবরের শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ৮ ঘন্টার দাবিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘট শুরু হলো।

প্রতীকী চিত্র

কুমারেশ চক্রবর্তী

গত কয়েক শতকের বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক আন্দোলনগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী আন্দোলন হল ১৮৮৬ সালের পহেলা মে আট ঘন্টার দাবিতে শ্রমিক আন্দোলন। গভীরতা, পরিবর্তনশীলতা ও ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের দিক থেকে মে দিবস শ্রেষ্ঠ। এরপরে ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লব বা প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। হঠাৎ বা কয়েকদিনের প্রস্তুতিতেই মে দিবসের জন্ম হয়নি। দীর্ঘ সময়ের আন্দোলনের ফল মে দিবস। তথ্য অনুসারে ১৮২০ থেকে ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আমেরিকার সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে যেসব শ্রমিক ও কর্মচারী আন্দোলন হয়েছিল তার থেকেই প্রস্ফুটিত হয় ১৮৮৬ সালের শ্রমিক আন্দোলন। অর্থাৎ দীর্ঘ কয়েক দশকের আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তি শ্রমিক দিবস যার অপর নাম আট ঘন্টার কাজ।অবশ্য আন্দোলন আজও অব্যাহত। সারা বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের শোষণ মূলক সরকার সর্বদাই চেষ্টা করেছেন শ্রমিক শ্রেণিকে দমন করতে, মালিক শ্রেণির স্বার্থে প্রতিনিয়ত চলছে দমন পীড়ন। যেমন ঠিক এই মুহূর্তে ভারতের শ্রমিকরা আর এক নতুন সংকটের মুখে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শ্রম আইন যা নতুন করে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার কে ছিনিয়ে নেবার এক সুগভীর চক্রান্ত। অবশ্য আশার কথা এর বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সব ধরনের শ্রমিক সংগঠনগুলি আবার নতুন করে আন্দোলনে সামিল হয়েছে।

মে দিবস সম্পর্কে যে সময়ের কথা বলছি ইতিহাসের ভাষায় যাকে বলা যায় উনিশ শতক। তখন শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন ছিল ক্রীতদাসদের জীবনের থেকেও ভয়ংকর। ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা বাধ্যতামূলকভাবে কাজ করানো হতো শ্রমিকদের। মালিকের গুন্ডারা পাহারা দিচ্ছে। ক্লান্তি বা বিশ্রামের প্রশ্নই ওঠে না। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে শ্রমিকরা ক্লান্তিতে একটানা পরিশ্রমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছে অথবা ঘুমে ঢলে পড়ছে। কিন্তু তাতেও নিস্তার নেই, সঙ্গে সঙ্গে মালিকের গুন্ডারা তাকে পিটিয়ে সোজা করে দিচ্ছে। নারী শ্রমিকদেরও একটানা ১৪ ঘন্টা কাজ করা ছিল বাধ্যতামূলক। তার সঙ্গে ছিল কাজে অবহেলা করার অজুহাতে মালিকের গুন্ডাদের যৌন নির্যাতন এমনকি তারা ধর্ষণ পর্যন্ত করতে পিছপা হত না। অথচ মজুরি ছিল সামান্যই যা দিয়ে শ্রমিকদের জীবনধারণ করাই ছিল একটা সমস্যা। সেইসঙ্গে না ছিল কাজের পরিবেশ কিংবা কোন সুযোগ সুবিধা। স্বাস্থ্য পরিষেবা হাসপাতাল বা শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। ছিল না কোন শৌচাগার এমনকি পানীয় জলের ব্যবস্থা। অর্থাৎ মুখ বুজে শ্রম করে যাওয়াটাই ছিল শ্রমজীবীদের একমাত্র কর্তব্য এই অবস্থা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল মে দিবস।

১৮২০ থেকে ৪০ যেসব আন্দোলন গুলি হয়েছিল সেগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে একটা বিশাল সংগ্রামের চেহারা নিল। ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে মে দিবস আন্দোলনের যথার্থ বীজ রোপিত হয়েছিল। বিশ্বের প্রথম শ্রমিক সংগঠন ফিলাডেলফিয়ার মেকানিকদের ইউনিয়ন। তারাই প্রথম শ্রমের সময় কমানোর দাবি তুলল। অবশ্য সেই দাবিতে ১০ ঘন্টা সময়ের কথা বলা হয়েছিল! কিন্তু তারপরেই আট ঘন্টার দাবি তুললো বিভিন্ন রাষ্ট্রের শ্রমিক সংগঠন। অস্ট্রেলিয়ার এক শ্রমিক ইউনিয়নের জনপ্রিয় স্লোগানটি ব্যাপক কাজ করলো। তাদের প্রভাবে অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠন দাবি তুলল ৮ ঘন্টা কাজ, ৮ ঘন্টা আমোদ প্রমোদ, ৮ ঘন্টা বিশ্রাম। একটা সুন্দর ছড়ার ছন্দে এই স্লোগান তখন দেশে দেশে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচারিত হতে লাগলো।

১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের পহেলা মে আন্দোলনের আগে শ্রমিক সংগঠনগুলোই বিভিন্ন বৈঠকের মাধ্যমে দুবছরের সাংগঠনিক প্রস্তুতি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। তার প্রথম ধাপ হিসেবে তারা ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক ধর্মঘটের আহ্বান জানালেন, উদ্যোক্তা আমেরিকা এবং কানাডার ট্রেড ও লেবার ইউনিয়ন ফেডারেশন। আমাদের দেশের ইউনিয়নের হঠকারী সিদ্ধান্তের মতো নয়। এর জন্য তারা সমগ্র দেশে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন আলোচনা বৈঠকে সংগঠন তৈরি করা শুরু করলেন। পাড়ায় পাড়ায় কলকারখানার আট ঘণ্টার ক্লাব তৈরি হলো। তারা জানেন যে, একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন ও ধর্মঘটে যেতে হবে। তাই মানসিকভাবে শ্রমিক পরিবারগুলিকে তারা প্রস্তুত করতে লাগলেন। তারা জানেন এর জন্য দরকার প্রচুর পরিমাণে অর্থ। ফলে শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অর্থে গড়ে উঠলো এক অকল্পনীয় তহবিল। নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক ধর্মঘট এবং শ্রমিক বিক্ষোভের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

১৮৮৪ সালের অক্টোবরের শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ৮ ঘন্টার দাবিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘট শুরু হল। এই সময় বিভিন্ন কলকারখানার ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টাও চলতে লাগলো। শুধুমাত্র নাইটস অফ লেবারের সদস্য সংখ্যা ৭ লক্ষ অতিক্রম করে গেল। আমেরিকার শিকাগো শহ বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন দেশে ধর্মঘট পালন শুরু হয়ে গেল। শুধু ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দেই ধর্মঘট ও লকআউটের সংখ্যা ৭০০, প্রভাবিত হলো ১১ হাজার ৫৬২টি প্রতিষ্ঠান! এই এইসব কার্যকলাপ ৮ ঘন্টার দাবীকে দারুন ভাবে প্রভাবিত করল। প্রধান দাবি ছিল আট ঘণ্টার বেশি শ্রমিকদের কাজ করানো যাবে না, নারী শ্রমিকদের আরো কম। কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, পানীয় জল এবং শ্রমিকদের বিশ্রাম ও অবসর যাপনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শ্রমের বিনিময় উপযুক্ত মজুরি দিতে হবে। শুধু শ্রমিকরা আন্দোলনে নামলো তা নয় একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ এই আট ঘন্টার দাবিকে সোচ্চার ভাবে সমর্থন জানালো। সেই সময় আমেরিকান বিভিন্ন প্রদেশের আইনসভা গুলি ৮ ঘন্টার দাবিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। বলা বাহুল্য মালিক শ্রেণি এবং কলকারখানার স্বত্বাধিকারীরা এই দাবীকে নস্যাৎ করে দিলেন। তারা বললেন, এটা এক শ্রেণির রাষ্ট্রবিরোধী সমাজবিরোধী জনগণের হঠকারী আচরণ। এমনকি বহু রাজ্য মালিকদের পক্ষেই গেল। তারা তাদের পুলিশ এবং প্রশাসন দিয়ে ধর্মঘটগুলিকে ভাঙার চেষ্টা করতে লাগলো।

অবশেষে এলো, পহেলা মে ১৮৮৬। সমগ্র আমেরিকার শ্রমিক সমাজ একই সঙ্গে আশেপাশের বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলির শ্রমিকরা চূড়ান্ত আন্দোলনে ফেটে পড়লো। যার কেন্দ্র ভূমি হল শিকাগো। টানা ধর্মঘটের ডাক। কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেল, লক্ষ লক্ষ শ্রমিক পথে নেমে আন্দোলনে যোগ দিলেন। শুধু শিকাগো নয় একইসঙ্গে নিউইয়র্ক, বাল্টিমোর, সিনসিন্নাটি, সেন্টলুই, পিটার্সবুগ, ডেট্রা, প্রভৃতি শহর আন্দোলনে সামিল হল। কল কারখানা ধর্মঘটে স্তব্ধ হয়ে গেল। কিন্তু মালিকপক্ষ বিন্দুমাত্র নরম হতে রাজি হলেন না। সরকার শ্রমিকদের ওপর অমানবিক নির্মম অত্যাচার শুরু করলেন। সেইসব অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন হত্যা কে অতিক্রম করে শ্রমিকরা পয়লা মে থেকে ২,৩,৪ মে পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে গেলেন। অবশেষে তাদের জয়লাভ হল। যদিও তার আগে হে মার্কেটে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। মালিক ও পুলিশের যৌথ নির্যাতনে নিহত হলো বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালিক ও সরকার বাধ্য হলেন ৮ ঘণ্টার দাবি মেনে নিতে।

আন্দোলন কিন্তু এখানেই থেমে থাকল না। ১৮৮৮-১৮৯০ বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন সংঘটিত হলো এবং শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক পহেলা মে দিবসকে শ্রম দিবস হিসেবেই গ্রহণ করল । যদিও মালিক ও পুঁজিপতি শ্রেণি এই দিনটিকে গুরুত্বহীন করার জন্য কখনো শিশু দিবস, কখনো বসন্ত দিবস, কখনো ফুলের দিবস হিসেবে পালন করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পয়লা মে রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বীকৃতি পেল আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস হিসেবে।

আজ দেড়শ বছর অতিক্রান্ত হলেও মে দিবসের গুরুত্ব এবং প্রাসঙ্গিকতা বিন্দুমাত্র কমেনি। তার কারণ মানুষের উপর মালিক এবং পুঁজিপতি শ্রেণির অত্যাচার নির্যাতনের রেহাই হয়নি। আজও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস জারি রয়েছে প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে শ্রমজীবী মানুষের উপর। সংগ্রাম, আন্দোলন, ধর্মঘটের অধিকার লাভ করার থেকে রক্ষা করা আরও বেশি কঠিন। নতুবা অধিকারকে টিকিয়ে রাখা যায় না। যেমন ঠিক এই মুহূর্তেই ভারতের শ্রমিক শ্রেণি এবং কর্মচারী এক বিরাট সংকটের মুখে এসে পড়েছে নতুন শ্রম আইনের ফলে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার চারটি নতুন শ্রম কোড তৈরি করেছেন সেই চারটি কোড হল,১) সামাজিক সুরক্ষা কোড ২০২০,২) পেশাগত সুরক্ষা স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ কোড ২০২০,৩) শিল্প সম্পর্ক কোড ২০২০ এবং ৪) মজুরি কোড ২০১৯। এগুলি বর্তমানে ২৯ কেন্দ্রীয় শিল্প আইনকে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং আইনের জটিলতা ও বহুবিধাতা এড়াতে লক্ষ্য রাখবে। এই চারটি কোডের মাধ্যমে আসলে প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার কে হরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন দেড়শ বছর আগের পাওয়া ৮ ঘণ্টার ডিউটি হয়তো বাতিল হয়ে যাবে। চালু হবে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ডিউটি। অবৈধ হয়ে যাবে শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার, আন্দোলনের অধিকার। এমনকি গেট মিটিং ,প্রচার পত্র বিলি বেআইনি হয়ে যেতে পারে। আর এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে শ্রমিকরা লিপ্ত হলে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাও করতে পারবে সরকার কিংবা মালিক কর্তৃপক্ষ। নতুন আইনে ইউনিয়নের অস্তিত্ব সংকটের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। ছোটখাটো কল কারখানায় ইউনিয়ন গড়ে তোলা সম্ভব হবে না । শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলন ও যৌথ সংগ্রামের ফলে এখনো পর্যন্ত সরকার এই চারটি কোড কার্যকরী করতে পারেনি কিন্তু যে কোন মুহূর্তেই এটা কার্যকরী হবে। এর কিছু কিছু অংশ কার্যকরী হতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভারতের শ্রমিক সমাজ নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তাদের মূল দাবি চারটি কোড বাতিল করা। তাছাড়া মাসিক বেতন কমপক্ষে ২৬ হাজার করতে হবে। জাতীয় সম্পদ বেসরকারিকরন করা যাবে না। ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন জায়গায় যে সংযুক্তিকরণ চলছে তা বাতিল করতে হবে। লাভজনক সংস্থাগুলিকে বেসরকারি হাতে দেয়া চলবে না। ১০০ দিনের কাজকে নিশ্চিত করতে হবে এবং এটা ২০০ দিনে পরিবর্তিত করা উচিত। তাছাড়া ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপ লাইন বাতিল করতে হবে। বিড়ি ও অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য সামাজিক কল্যাণ প্রকল্প চালু করতে হবে, সব ধরনের শ্রমিক এবং শ্রমজীবী মানুষকে কমপক্ষে নয় হাজার টাকা মাসিক পেনশন দিতে হবে।

ট্রেড ইউনিয়নগুলি কয়েকটি ভয়ংকর তথ্য তুলে ধরেছেন, তাদের মতে সরকার বেকারত্ব দূর করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য বহু ঢাক ঢোল পিটিয়ে যে ইন্সেন্টিভ স্কিম চালু করেছিলেন, প্রকৃতপক্ষে সেটা দেশের কিছু বাছাই করা ব্যবসায়ীগোষ্ঠীকে ঘুষ দেয়ার সমান। কেন্দ্রীয় সরকার ১৪ টি উৎপাদন ভিত্তিক কর্পোরেট সংস্থাকে ১৪৭ লক্ষ কোটি টাকা এবং সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনশিল্পে ৭৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। একই ভাবেই এমপ্লয়মেন্ট লিঙ্ক ইনসেন্টিভস স্কিমে ২ লক্ষ কোটি টাকা সরকার দিয়েছিলেন বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাকে। অথচ গত কয়েক বছরে নতুন কোন কর্মসংস্থান বা কর্মী নিয়োগের ঘটনা জানা নেই বললেই চলে।

এটা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি। অর্থাৎ কোটি কোটি বেকার যুবককে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা যা প্রকারান্তরে জনগণের টাকা ১৪ কর্পোরেট সংস্থার হাতে হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। একে দুর্নীতি বলবো নাকি আদালতের ভাষায় ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলবো সেটা বিবেচ্য বিষয়।