সুদীপ্ত দে
ঠিকা শ্রমিক, ব্যবসার জন্য নমনীয়তা প্রদান করলেও, শোষণের সম্ভাবনা এবং শ্রমিক সুরক্ষার অভাবের কারণে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা উপস্থাপন করে। নিয়মিত কর্মীদের তুলনায় চুক্তিবদ্ধ কর্মীরা প্রায়শই অনিরাপদ কর্মসংস্থান, কম মজুরি, সীমিত সামাজিক সুরক্ষা এবং বিপজ্জনক কাজের পরিবেশের মুখোমুখি হন। ১৯৭০ সালের চুক্তিভিত্তিক শ্রম (নিয়ন্ত্রণ ও বিলোপ) আইন এই ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে কাজ করে, তবে আইন প্রয়োগের অসুবিধা এবং কোম্পানিগুলির এর বিধানগুলি এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার মতো সমস্যাগুলি এখনও রয়ে গেছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে বেশি থাকেন এবং প্রায়শই নিয়মিত কর্মীদের জন্য প্রদত্ত সুবিধা এবং সুরক্ষা, যেমন স্বাস্থ্য বীমা, বেতনভুক্ত ছুটি এবং অবসর পরিকল্পনা, তাদের অভাব থাকে।
Advertisement
চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের পারিশ্রমিক প্রায়শই উৎপাদনের সাথে যুক্ত থাকে, যার ফলে নিয়মিত কর্মীদের তুলনায় কর্মঘণ্টা বেশি এবং বেতন কম হতে পারে। ঠিকাদার শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নিযুক্ত করা হয়, যেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের অনিশ্চিত কর্মসংস্থানের অবস্থা এবং শক্তিশালী ইউনিয়ন প্রতিনিধিত্বের অভাবের কারণে তাদের উন্নত শর্তাবলীর জন্য আলোচনা করার ক্ষমতা সীমিত।
Advertisement
১৯৭০ সালের চুক্তিভিত্তিক শ্রম (নিয়ন্ত্রণ ও বিলোপ) আইন, যদিও ঠিকা শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য তৈরি, বাস্তবায়ন এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, যার ফলে শোষণ রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। চুক্তিভিত্তিক শ্রম (নিয়ন্ত্রণ ও বিলোপ) আইন, ১৯৭০ এর লক্ষ্য হলো চুক্তিভিত্তিক শ্রমের নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করা এবং শোষণ রোধ করা। এই আইন সরকারকে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চুক্তিভিত্তিক শ্রম নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা দেয় এবং ঠিকাদারদের কিছু মৌলিক সুযোগ-সুবিধা এবং কল্যাণমূলক ব্যবস্থা প্রদানের বাধ্যবাধকতা দেয়। ঠিকাদাররা যাতে বিধানগুলি মেনে চলেন এবং শ্রমিকরা যাতে তাদের প্রাপ্য সুবিধা পান তা নিশ্চিত করার জন্য চুক্তি শ্রম আইনের উন্নত প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের, বিশেষ করে যারা নিয়মিত কাজ করেন, তাদের নিয়মিতকরণকে উৎসাহিত করা তাদের চাকরির নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধাগুলি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।সার্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কভারেজ সম্প্রসারণ তাদের জন্য একটি নিরাপত্তা জাল তৈরি করতে পারে। চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের মধ্যে ইউনিয়ন গঠন এবং সম্মিলিত দর কষাকষির প্রচার তাদের কর্মসংস্থানের আরও ভালো শর্তাবলীর জন্য আলোচনায় সহায়তা করতে পারে।
নিয়োগকর্তা এবং চুক্তিবদ্ধ কর্মী উভয়ের মধ্যে তাদের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি শোষণ রোধ করতে এবং ন্যায্য শ্রম অনুশীলনকে উৎসাহিত করতে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে সারা ভারতবর্ষে প্রচুর চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা আছেন যারা তাদের ন্যায্যমজুরি থেকে এখনো পর্যন্ত বঞ্চিত এবং তারা সামাজিক সুরক্ষা থেকেও এখনো বঞ্চিত। এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা বর্তমানে তারা যে যে টাকা বেতন পায় তাতে এই দ্রব্যমূল্যর বৃদ্ধির বাজারে তাদের সংসার পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং এ চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা এবং পড়াশোনার করানোর ক্ষেত্রে নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হতে হয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের জন্য এখনো পর্যন্ত সঠিক কোন রকমের প্রকল্প চালু করতে পারেনি তাদের একটি নির্দিষ্ট বেতন নির্ধারণ করতে পারেননি এবং এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ধর্ম নিয়ে যে সরকার সব সময় মেতে থাকেন পুঁজিপতিদের সাহায্য করার জন্য যে সরকার এগিয়ে থাকেন সেই কেন্দ্রীয় সরকার সারা ভারতবর্ষের ঠিকা শ্রমিক এবং চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের কথা কোনদিনই ভাবেননি পুঁজিপতিদের ব্যাংকের লোন লক্ষ কোটি টাকা যেমন দেয়া যায় তেমনি আবার ব্যাংকের ঋণ পুঁজিপতিদের ক্ষেত্রে মাফ করে দিচ্ছেন এই কেন্দ্রীয় সরকার অথচ একজন ঠিকা শ্রমিক বা চুক্তিভিত্তিক একজন শ্রমিক তিনি কোন রাষ্ট্র ব্যাংক থেকে কোন প্রকার লোন পায় না আর যদিও কোন লোন পান তাদের কোনরকম কিস্তি ছাড় দেয়া হয় না।
তাই সমস্ত সাধারণ মানুষকে সমস্ত গরিবি অসহায় মানুষকে এই কেন্দ্রীয় সরকারের কথা ভাবতে হবে এবং এই পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যে যারা প্রতিনিয়ত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন তারা যে আসলে পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি চান না। পশ্চিমবঙ্গের কৃষক শ্রমিকের উন্নতি চান না তার জন্য সমস্ত সাধারণ মানুষকে একত্রিত হতে হবে এবং বুঝতে হবে যে এরা আসলে পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি চান না এরা নিজেদের উন্নতি এবং বিশেষ কিছু পুঁজিপতিদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নানান ধরনের মিথ্যা কথা বলছেন তাই আগামী দিন সমস্ত সাধারণ মানুষকে এক হতে হবে সমস্ত কৃষক সমস্ত থিকা শ্রমিককে এক হয়ে থাকতে হবে।
Advertisement



