অবশেষে সোমবার থেকে ঝাড়গ্রামের সরডিহা রেলস্টেশনে স্টপেজ পেল টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস। স্টপেজের জন্য প্রচুর বিক্ষোভ, অবরোধের পর এদিন সকালে টাটানগর–হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য সরডিহা স্টেশনে সবুজ পতাকা নেড়েছেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কালীপদ সরেন। আগে সরডিহা স্টেশনে স্টিল এক্সপ্রেসটি দাঁড়াত। কিন্তু করোনার সময় আচমকা ট্রেনটির স্টপেজ সরডিহা স্টেশন থেকে তুলে নেওয়া হয়। তারপর থেকে শুরু হয় আন্দোলন। এর জেরে দক্ষিণ–পূর্ব রেলওয়ে ঘোষণা করে, সোমবার ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরডিহা রেলস্টেশনে আগের মতো স্টিল এক্সপ্রেস দাঁড়াবে।
এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি টাটানগর ও হাওড়ার মধ্যে যাতায়াত করে। প্রতিদিন সকালে টাটানগর থেকে ট্রেনটি ছাড়ে দুপুরে হাওড়ায় পৌঁছায়। আবার বিকেলে হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করে রাতে টাটানগরে পৌঁছায়। এটি খড়গপুর ডিভিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেন। সোমবার সরডিহা স্টেশনে ফের স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজের সূচনার সময় উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ, কাউন্সিলর তথা ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাতো, জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহাশিস মাহাতো প্রমুখ। মহাশিস মাহাতো সরডিহায় স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। এদিন স্টেশনে উপস্থিত থেকে তিনি জানান, দীর্ঘ আন্দোলনের সমাপ্তি হয়েছে। রেল অবরোধ করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। স্টপেজের জন্য আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, সরডিহা, লোধাশুলি, মানিকপাড়া, বালিভাষা, গোপীবল্লভপুর-সহ ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকার মানুষ স্টিল এক্সপ্রেসে হাওড়া অথবা টাটানগর যাতায়াত করেন। করোনার সময় সরডিহা থেকে স্টপেজ তুলে নেওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। করোনার পর থেকে এই সব এলাকার যাত্রীদের গাড়িভাড়া করে খড়গপুর অথবা ঝাড়গ্রামে গিয়ে ট্রেন ধরতে হত। এই সব সমস্যার কথা জানাতে রেলের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ। লোকসভাতেও তিনি এই বিষয়টি উত্থাপন করেন।
Advertisement
কালীপদ বলেন, ‘স্টপেজের জন্য এলাকার মানুষজন আমাকে একাধিক বার জানিয়েছিলেন। রেলের সঙ্গে আলোচনা এবং বৈঠকে আমি একাধিকবার সেই দাবি তুলে ধরেছিলাম। সোমবার থেকে স্টিল এক্সপ্রেস সরডিহায় স্টপেজ চালু করল আবার।’
Advertisement



