এক চাল ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হল তাঁর গাড়ি থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলার রবীন্দ্রনগরে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি খুন না কি আত্মহত্যার ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই মৃত ব্যবসায়ীর নাম উত্তম সাউ (৩৮)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি চালের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই ব্যবসায়ীর একটি ছোট লরিও ছিল। এই গাড়িতেই চাল বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হত। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বর্ধমানের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন উত্তমকুমার সাউ। শুক্রবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়। শনিবার থেকে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি পরিবারের সঙ্গে।
রবিবার সকালে ওই লরি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই গাড়িটি ব্যবসায়ীর বাড়ির কিছুটা দূরে আকড়া নতুন পোলের কাছে ২৫৯ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে রাখা থাকত। এদিন সকালে সেখান থেকেই ওই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই গাড়ির খালাসি দেবব্রত গিরি এই ঘটনাটি প্রথম দেখতে পান। তিনিই খবর দেন উত্তমবাবুর বাড়িতে। খবর যায় রবীন্দ্রনগর থানাতে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। যদিও মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীর শাস্তির দাবিতে সরব হন।
Advertisement
যদিও অবশেষে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তমবাবুর বাজারে বেশ কিছু ধার হয়ে গিয়েছিল। এবং তিনি জুয়াতেও আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি উত্তমবাবু বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তাঁর পরিবারকে জানিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে পাওনাদার আসতে পারেন। পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর স্কুটিও দিন কয়েক ধরে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেনার দায়ে ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছে নাকি তাও পুলিশের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবং ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত স্কুটি কোথায় গেল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Advertisement
Advertisement



