শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড সোনার দোকানে রবিবার ভরদুপুরে হানা দিয়েছিল চার পাঁচজনের একটি ডাকাত দল। তাঁদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল যা দেখিয়ে তাঁরা সব মিলিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকার সোনা ও হিরে লুঠ করেছে। ইতিমধ্যেই এই দলের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় ভিন রাজ্যের ডাকাত গ্যাঙের দাপট নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। শিলিগুড়ির এটিএম লুটে যুক্ত ছিল ইউপি ও বিহারের একটি গ্যাঙ। আবার এদিনের ডাকাতির ঘটনাতেও যুক্ত ছিল ভিনরাজ্যের ডাকাতের দল।
সোনার দোকান লুটের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ শামশেদ বিহারের বাসিন্দা এবং মহম্মদ সফিক রাজস্থানের বাসিন্দা। জেরায় জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমার বিধান নগরে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তাঁরা থাকতেন। গত আট মাস ধরেই তাঁরা সেখানে আছেন। তাঁদের দলে একজন মহিলাও আছেন বলে খবর মিলেছে। তাঁদের কাজ শহরের সোনার দোকানগুলি পর্যবেক্ষণ করা এবং সেই অনুযায়ী ডাকাতির পরিকল্পনা করা। এই ঘটনায় দু’জন ধরা পড়লেও বাকি সদস্যদের ধরা যায়নি। এমনকি ডাকাতি হয়ে যাওয়া সোনা ও হিরে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিকভাবে পুলিশদের দিকে প্রশ্ন উঠেছে। এতগুলো মাস ধরে একটা ডাকাত দল শহরে এসে ভাড়া নিয়ে থেকে ডাকাতির প্ল্যান করেছে সেই বিষয়ে পুলিশ কেন সজাগ হয়নি? যদিও এটিএম লুটের ঘটনায় শিলিগুড়ি পুলিশের সফলতা দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।