মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর কথা। অথচ মৃতের গলায় কালশিটের দাগ। দাহকার্যের আগে শ্মশানকর্মীর চোখে পড়ে সেই বিষয়টি। তারপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শ্মশান থেকে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর। মৃতের পরিবার ও অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার মারা যান বনগাঁ থানার গাড়াপোতা এলাকার বাসিন্দা বছর ৬৫-র ধ্রুব কুণ্ডু। স্থানীয় এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে ভূপেন্দ্রনাথ শেঠ স্মৃতি মহাশ্মশানে পৌঁছয় পরিবার। সেই সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হল ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর কথা। মৃতদেহ শ্মশানের ভিতরেই রাখা ছিল। আচমকা কর্মীরা দেখেন, ওই বৃদ্ধের গলায় কালসিটের দাগ রয়েছে।
গোটা বিষয়টি শ্মশান থেকে জানানো হয় বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধানকে। দ্রুত পুলিশকে সেই খবর জানানোর নির্দেশ দেন পুরপ্রধান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর পুলিশ গিয়ে ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি অন্য কোনও রহস্য আছে? মৃতের পরিবার কেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট লিখিয়ে আনলেন? সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।