দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম (এনবিএসটিসি)-এ আসছে নতুন ৬৭টি সিএনজি-চালিত বাস। এর ফলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে দীর্ঘদিনের বাসের সঙ্কট অনেকটাই কাটবে বলে মনে করছে নিগম। বিশেষ করে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি পথে চলাচলের জন্য ৩২ আসনের বিশেষভাবে প্রস্তুত ১৮টি বাস যুক্ত হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন যাত্রী ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এনবিএসটিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই জানান, ‘রাজ্যের অর্থ দপ্তরের অনুমোদন ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। এখন প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া মাত্র বাস তৈরির বরাত দেওয়া হবে। এতে কিছুটা হলেও চলাচলের ঘাটতি কমবে।’ তাঁর কথায়, ‘আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই নতুন বাসগুলি রাস্তায় নামতে পারবে।’
Advertisement
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ৬৭টি বাসের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস রয়েছে ১৪টি। সেগুলি কোচবিহার–শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ–শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ–মালদা, বালুরঘাট–মালদা সহ জনপ্রিয় রুটে এগুলি চলবে। পাশাপাশি রয়েছে ৩০টি নন-এসি বাস, যেগুলি বিভিন্ন স্থানীয় রুটে পরিষেবা দেবে। দূরপাল্লার রুটে চালানোর জন্য থাকছে আরও ৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রকেট বাস।
Advertisement
সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে পাহাড়ি রুটের বাস পরিষেবা। এখনও পর্যন্ত পাহাড়ে ৪০ সিটের বড় বাস চালানো হত, যা আদতে পাহাড়ি রাস্তায় উপযুক্ত নয় বলে স্বীকার করেছেন নিগমের কর্তারাই। ঘনঘন যান্ত্রিক সমস্যা তৈরি হওয়ায় যাত্রীরা যেমন ভুগতেন, তেমনই বিপাকে পড়ত নিগমও। এই পরিস্থিতিতে নতুন ৩২ সিটের ১৮টি ছোট বাস পাহাড়ি রুটে নামানো হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে এনবিএসটিসি-র মোট বাস সংখ্যা প্রায় ৭০৬। এর মধ্যে বহু বাস ১৫ বছরের বেশি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় দ্রুতই সেগুলি বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। নতুন বাস রাস্তায় নামলে পুরোনো বাসগুলি সরিয়ে দেওয়ার পথ সুযোগ সুগম হবে বলে মনে করছেন নিগমের কর্তারা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহন বিষয়ক একটি বিশেষ প্রকল্প থেকেই সিএনজি-চালিত বাস কেনার আর্থিক সহায়তা মিলবে বলে নিগম সূত্রে খবর। পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প ব্যয়ে চলা সিএনজি বাস উত্তরবঙ্গের পরিবহন পরিষেবায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে মত পরিবহন দপ্তরের।
Advertisement



