মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এমএসএমই মান্থ উদযাপনের অংশ হিসাবে, শিল্পের সমাধানে রাজ্য জুড়ে সমস্ত ব্লক, পৌর ও কর্পোরেশন এলাকায় হবে বিশেষ শিবির বা মেলা। আর ওই নির্দেশ কার্যকর করতে সোমবার থেকে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ও গুসকরায় সপ্তাহব্যাপী মেলা এবং শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ৬-দিন ব্যাপী এই মেলা। এই মেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ বস্ত্র বিভাগ,খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন বিভাগ, কৃষি বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগের স্টল রয়েছে। রয়েছে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, অনগ্রসর শ্রেণীকল্যান বিভাগ, উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগ সহ অন্যান্য দপ্তরের স্টলও আছে ।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জামালপুরের ব্লক অফিস প্রাঙ্গণে এই মেলা হচ্ছে। সোমবার বিকেলে এই মেলার উদ্বোধন করেন বিডিও পার্থসারথী দে, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান ও জেলা পরিষদের সদস্য শোভা দে। ব্লকের বিভিন্ন দপ্তরের অফিসাররা ছিলেন এই স্টলগুলোতে। ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ডের মত অন্যান্য পরিষেবা পেতে অনেকেই নাম নথিভুক্ত করেন। বিডিও পার্থসারথী দে বলেন, ‘রাজ্য সরকার, বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন সাধারণ মানুষ যাতে কোনো সরকারি পরিষেবা থেকে কেউ যেন কোন ভাবেই বঞ্চিত না হন। তাই একই জায়গায় বিভিন্ন দপ্তরকে এনে এই ধরনের মেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মেহেমুদ খান বলেন, ‘রাজ্যের জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী সর্বদাই রাজ্যের সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। গ্রামের অনেক মানুষ আছেন যাঁরা সব সময় ব্লকে আসতে পারেন না তাঁরাও এখানে এলে সাথে সাথেই তাঁদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিশেষ করে বেকার যুবক যুবতীদের ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোনের ব্যবস্থা হলে তাঁরা খুবই উপকৃত হবে।’
অন্যদিকে, শিল্পে উৎসাহ দিতে গুসকরা পৌরসভার উদ্যোগে শুরু হয়েছে শিবির। চেয়ারম্যান কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন , তিন ওয়ার্ডের ৩৭ জনের নাম ‘উদ্যম’ পোর্টালে তোলা হয়েছে , যাতে তাঁরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যাবসার জন্য এক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে পারেন স্বল্প সুদে। মেলায় প্রথম দিনে ছিলেন জেলা শিল্প দপ্তরের আধিকারিক মণিকাঞ্চন গঙ্গোপাধ্যায়, গুসকরা কলেজের অধ্যক্ষ সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। মহিলারা এই শিল্পের শিবিরে কাঁথাস্টিচ, অলঙ্কার, বিভিন্ন খাবারের স্টল ও হাতের কাজের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন।