• facebook
  • twitter
Sunday, 16 February, 2025

‘বিডিওর রক্ত চাই’, মাওবাদী পোস্টারে ফের সরগরম খয়রাশোল

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খয়রাশোল এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমনটা ঘটেছে।

খয়রাশোল চত্বরের থামের গায়ে সাঁটা মাওবাদী পোস্টার। সংগৃহীত ছবি।

‘বিডিওর রক্ত চাই’ মর্মে মাওবাদীদের পোস্টার ঘিরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বীরভূমের খয়রাশোল এলাকায়। সাদা পাতায় লাল কালিতে লেখা হুমকি পোস্টার। হুমকির লক্ষ্য স্থানীয় বিডিও সৌমেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। পোস্টারগুলো স্থানীয় বাসিন্দারা মঙ্গলবার সকালে আবিষ্কার করেন। পানসিউড়ি অঞ্চলের রাস্তার ধারে থামের গায়ে সেগুলি সাঁটা ছিল। পুলিশে খবর দেওয়ায় তারা এসে পোস্টারগুলোকে তুলে নেয়। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।

২ ধরনের পোস্টার পাওয়া গিয়েছে খয়রাশোল অঞ্চল থেকে। একটিতে লেখা, ‘বিডিওর রক্ত চাই, বাংলাকে বাঁচাতে চাই, নকশাল জিন্দাবাদ।’ আরেকটি পোস্টারে অনুপ সাহার ছবি দিয়ে লেখা ‘মুণ্ডু চাই।’ পোস্টারের নিচে সিপিআইএম (মাওবাদী) লেখা। এই হুমকিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চারিদিকে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খয়রাশোল এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমনটা ঘটেছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীমা ধীবর এবং ব্লক পরিচালনা কমিটির শ্যামল গায়েন-উজ্জ্বল কাবেরীর মধ্যে কিছুদিন হল শুরু হয়েছে ঠাণ্ডা যুদ্ধ। উন্নয়ন খাতের টাকা কাউকে না জানিয়ে খরচ করার নামে পকেটে ভরা হচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে বীরভূমের জেলাশাসকের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন অসীমা। সেই ব্যাপারটিও তদন্তাধীন। এমন পরিস্থিতিতে মাওবাদীদের নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ হুমকি পোস্টার সাঁটাল কিনা, সেই নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বীরভূমের খয়রাশোল মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা বলে একসময়ে কুখ্যাত ছিল। কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধরে মাওবাদীদের কোনও সাড়াশব্দ এই অঞ্চলে নেই। নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ বজায় রয়েছে। ফলে এই পোস্টার দেখে মাওবাদী-ভীতি ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই ব্যাপারে বিধায়ক অনুপ সাহার প্রতিক্রিয়া, ‘প্রশাসন এর তদন্ত করুক। মাওবাদীদের নামে বিরোধীদের ভয় দেখানোর কৌশল নিচ্ছে শাসকদল। সাহস থাকলে সামনাসামনি বিরোধিতা করুক।’ তবে বিডিওর কাছ থেকে এই ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।