• facebook
  • twitter
Monday, 8 December, 2025

হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ ২৪ কোটি, সাংসদ দেবকে চিঠি লিখলেন মমতা

নতুন একটি ভবন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে

ফাইল চিত্র

বাড়ানো হচ্ছে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা। ৩০ বেডের গ্রামীণ হাসপাতাল ৫০ বেডের করা হবে। থাকবে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা, অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক মেশনপত্র। এলাকার মানুষকে আরও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে রাজ্য সরকার প্রায় ২৪ কোটি টাকা খরচ করছে। হাসপাতালটি ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। তাই এই বিষয়টি ঘাটালের সাংসদ দেবকে চিঠি লিখে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এই চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই পদক্ষেপের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
এর আগে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালটি। হাসপাতালের বেশিরভাগ অংশের অবস্থা ছিল ভগ্নপ্রায় ও জরাজীর্ণ। একাধিকবার হাসপাতালের পরিস্থিতি ঠিক করার দাবি জানানো হয়েছিল। সাংসদ দেব তো বটেই স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহাও একাধিকবার কেশপুর হাসপাতালের মান উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ দেবকে চিঠি দিয়ে সরকারের এই উদ্যোগের কথা জানালেন। এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার মানুষের মধ্যে খুশির হাওয়া। এবার থেকে হাতের কাছেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন এলাকাবাসী। দেবকে চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘মানুষকে আরও উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমরা এই পদক্ষেপ করলাম। সরকারের এই সদ্‌র্থক ভূমিকার কথা তুমি যথাযথভাবে এলাকার মানুষের নজরে আনবে, এই আশা রাখি।’
জেলার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানান, নতুন একটি ভবন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স, লেবার রুম সহ ৫০টি বেড রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে শুধুমাত্র নর্মাল ডেলিভারি হয়। নতুন ভবন তৈরি করা হয়ে সেখানে সিজারের ব্যবস্থাও থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৬ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতালের পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। আগের তুলনায় পরিষেবার অনেক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু আরও উন্নতির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে বর্তমানে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ পান স্থানীয়রা। বাসিন্দাদের দাবি, আগে সামান্য কিছু হলেই মেদিনীপুর মেডিক্যালের উপর ভরসা করতে হত। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবার উন্নতি হলে আর তা করতে হবে না বলেই আশাবাদী তাঁরা।

Advertisement

Advertisement