নদিয়ার করিমপুর ২ নম্বর ব্লকে প্লাস্টিক বর্জ্য বিসর্জন ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এক অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুপ্রতীক মজুমদার। সাধারণভাবে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের ধর্মীয় কাজের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ মনে করা হলেও, এই উদ্যোগে তাদের সামাজিক দায়িত্ব পালনে সম্পৃক্ত করে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে।
ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য জমে যাওয়া এবং পরিচ্ছন্নতা ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরতে বিডিও সাহেব একটি ‘পাপ আউট পয়েন্ট’ ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন আয়োজন করেন। এই উপস্থাপনায় ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের সামনে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়, যেখানে এলাকাবাসীর অসচেতনতার কারণে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে।
Advertisement
বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বলেন, ধর্মীয় নেতারা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের কণ্ঠে কথার প্রভাব বেশি হয়। তাই তাদের সঙ্গে আমরা সচেতনতার এই উদ্যোগে অংশীদার করে তুলছি। প্লাস্টিক দূষণ ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা শুধু সরকারের কাজ নয়, এটা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরও জানান, ইমাম ও মোয়াজ্জেমরা এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং মসজিদে খুৎবা ও অন্যান্য ধর্মীয় সমাবেশে এই বিষয়ে বার্তা পৌঁছে দেবেন।
Advertisement
এ বিষয়ে করিমপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য ও ক্রীড়া কর্মধক্ষ্য ড. রাজেশ খান জানান,এই উদ্যোগের সামাজিক প্রাসঙ্গিকতার ব্যাপকতা রয়েছে। ধর্মীয় নেতারা সমাজের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, তাঁদের বক্তব্যের সঞ্চরণশীলতা অনেক বেশি। তাই তাঁদের বিবিধ উদ্যোগের মাধ্যমে সচেতনতা ছড়ালে মানুষ দ্রুত সাড়া দেয়। প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলতে এটা অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্পষ্ট যে, শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগ নয়, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্বের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম হতে পারে। করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
Advertisement



