সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর। ঘটনায় উত্তাল স্কুল চত্বর। বৃহস্পতিবার সকালে আদিবাসী ছাত্রীর মৃত্যুর জেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত মনোজ পালের স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে জানতেন। তবু তিনি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। পদক্ষেপ নিলে নাবালিকার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটত না। ধৃত ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজ পালকে আড়াল করার অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ এলেও স্থানীয়রা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ভাঙচুর শুরু করে।
বুধবার রামপুরহাটের আদিবাসী ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ছাত্রীকে খুন করার অভিযোগে পুলিশ স্কুলের শিক্ষক মনোজকুমার পালকে গ্রেপ্তার করে। খুনের কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। গত ২৮ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। ২০ দিন পর ছাত্রীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুন করার পরে তাঁকে টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দি করে জলাজমিতে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার পরে স্থানীয়দের তরফে জানানো হয়, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে টিউশন পড়াতেন ধৃত শিক্ষক।
Advertisement
কোনওদিন যদি ওই ছাত্রী পড়তে না যেত তাহলে অভিযুক্ত শিক্ষক কেন সেই ছাত্রী আসেনি তার খোঁজ নিত। এক পর্যায়ে এসে রীতিমতো ছাত্রীকে উত্যক্ত করা শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষক। অভিযোগ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন শিক্ষক। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে যান অভিযুক্ত ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক। অনুমান এরপরেই ছাত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি। ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট শ্যামপাহারি শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বার করে আনে স্থানীয়রা। এরপরেই তাঁকে চড়, কিল, ঘুষি মারা হয়। প্রধান শিক্ষকের জামাও ছিঁড়ে যায় এই টানা হিঁচড়ানোর জেরে। পুলিশ কোনওমতে ঘটনাস্থল থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
Advertisement
Advertisement



