• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় চার বাইক আরোহী ছাত্রের মৃত্যু

ধাক্কা মারার পর এক যুবক গাড়ির নিচে চাপা পড়ে যায়। দুমরে মুচরে যায় পিকভ্যানের সামনের অংশ। স্থানীয়রা জখম চারজনকেই উদ্ধার করে  পুলিশের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠায়।

প্রতীকী চিত্র

উৎসবের রাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। আর এই ঘটনায় চার বাইক আরোহীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার নাদনঘাটে হাটশিমলা মোড়ে। এই ঘটনায় আরও এক মহিলা গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় বলেরো পিক ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষেই চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় বর্ধমান কাটোয়া এসটিকেকে রোডের হাটশিমলা মোড় এলাকায়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের পাশাপাশি পুলিশের তৎপরতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায়  চার বাইক আরোহীকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও চিকিৎসক চারজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। মৃতরা সকলেই স্কুল পড়ুয়া। স্থানীয় ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। রাতেই পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছে যান এলাকায়। ঘটনার পর রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে যাতায়াত বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ তৎপর হয়ে যানজট মুক্ত করেন রাস্তা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  রাতে একটি মোটর সাইকেলে চারজন কাটোয়া বর্ধমান এসটিকেকে রোড ধরে নবদ্বীপ থেকে ফেরার সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। অতি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল বাইকটি। এমনটাই দাবি অনেকের। দুর্ঘটনার আগে ওই বাইক আরোহীরা এক মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে ধাক্কা মারে। তবে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, পিক আপ ভ্যানের চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলো।

ধাক্কা মারার পর এক যুবক গাড়ির নিচে চাপা পড়ে যায়। দুমরে মুচরে যায় পিকভ্যানের সামনের অংশ। স্থানীয়রা জখম চারজনকেই উদ্ধার করে  পুলিশের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু কাউকেই বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত চার যুবকের নাম আবু বক্কর সিদ্দিকী, নামাজ আলি মন্ডল, আব্দুল সেলিম মোল্লা ও আরিফ সেখ।  চারজনের মধ্যে দুজন অষ্টম শ্রেণী ও একজন দশম শ্রেণীর ছাত্র। কালনা থানার পুলিশ  পিক আপ ভ্যানটিকে আটক করলেও গাড়িটির চালক পলাতক। এই ঘটনার পর গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহগুলির ময়না তদন্ত হয়। এদিকে সকালেই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের পাশে থাকতে কালনা হাসপাতালে পৌঁছে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি মৃত ছাত্র ছাত্রদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। সকলকে সমবেদনা জানান। এদিকে গুরুতর জখম ওই মহিলাকে শুক্রবার সকালে কালনা থেকে নদিয়ার কৃষ্ণনগর হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।