ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে অপহরণ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির হরিপাল থানা এলাকায়। অপহৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়। যদিও অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের পাশাপাশি ৫ জনকে গ্রেপ্তারও করেছেন তদন্তকারীরা। অপহরণের পিছনে শুধু ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি অন্য কারণ রয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর কেউ জড়িত আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্তানকে স্কুলে দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান স্থানীয় ব্যবসায়ী সুকুর আলি। দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলে ব্যবসায়ী বাড়ি ফিরে না আসায়, তাঁকে খুঁজতে যান তাঁর বাবা। স্কুলে সামনে সুকুরের বাইক পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এরপরই দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সুকুরের স্ত্রীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে হুমকি আসে বলে অভিযোগ। তারপর বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে অবশেষে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশে অভিযোগ জানায় অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবার।
Advertisement
তদন্তে উঠে আসে, পাণ্ডুয়া থানা এলাকায় সুকুরকে লুকিয়ে রেখেছেন অপহরণকারীরা। এরপর ওই ব্যবসায়ীর খোঁজ শুরু করে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ পাণ্ডুয়া থানা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। সেখান থেকেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা প্রত্যেকেই জয়েরবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা।
Advertisement
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকা লেনদেনের কারণে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। হুগলি জেলার (গ্ৰামীণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায় বলেন, ‘অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই টাকা চেয়ে অপহরণ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। বিস্তারিত জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
Advertisement



