রবিবার বিকেলে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলে সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে মার্কসবাদের আলোকে ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও জীবন জীবিকা রক্ষার সংগ্রাম শীর্ষক আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প তাঁত আজকে ধ্বংসপ্রাপ্ত। এই শিল্পকে বাঁচানোর কোনও উদ্যোগ নেই কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারের, এমন মন্তব্য উঠে এল শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সঞ্জিত ঘোষ, জেলা কমিটির সদস্য সৌমেন মাহাতোর গলায়।
শ্রীদীপ বাবু বলেন, নির্বাচনী লড়াই একমাত্র পথ নয়। মানুষের জীবন, জীবিকার যে লড়াই তার সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইকে মেলাতে হবে। দুনিয়াটা মানুষের। তাই শোষককে ক্ষমতা প্রয়োগ করে হটিতে দিতে হবে। মার্কসবাদ বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক মতবাদ। মার্কসের ভাষায় ‘মর্তের মধ্যে স্বর্গ গড়ে তোলা’। তাই আমাদের লড়াই সকলের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার, সকলের বাঁচার অধিকারের জন্য। দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি গৃহহীন মানুষ ভারতে। না খেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যা এদেশে ক্রমশ বাড়ছে। আর এক্ষেত্রে মানুষের এই জীবন-জীবিকা রক্ষার সংগ্রামে পথপ্রদর্শক হিসেবে মার্কসবাদ শ্রেষ্ঠতম মতবাদ।
Advertisement
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য মার্কস, এঙ্গেলস, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দকে তাঁর বক্তব্যে বার বার উদ্বৃত করেন। শ্রীদীপ বলেন সারাদেশে বিজেপি, আরএসএস যা করছে, বাংলার মাটিতেও তাই ঘটছে। এখানেও গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত। এখানে স্কুল, কলেজ, পঞ্চায়েত কোথাও ভোট করতে দেওয়া হচ্ছেনা। ছেলে, মেয়েদের কাজ নেই। জীবন, জীবিকা উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ নেমে আসছে। আরজি করে একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের, মেধাবী মেয়ে খুন হয়ে গেল। শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। আর মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।”
Advertisement
অন্যদিকে বিজেপি, আরএসএসকে নিশানা করে সিপিএম নেতা আরও বলেন, মোদী, অমিত শাহ দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করছে।আরএসএস ১৯২৫ সালে গড়ে ওঠে। জন্মলগ্ন থেকেই তাদের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। এই হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে হিন্দুদের কোনও সম্পর্ক নেই। বিবেকানন্দ থেকে হিন্দুত্ববাদ শিখতে পারি। কিন্তু বিজেপি,আরএসএসের থেকে নয়। আরএসএস দাঁড়িয়ে আছে হিন্দুত্বের ওপর। রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মকে ওরা মিশিয়ে দিতে চাইছে।
Advertisement



