• facebook
  • twitter
Wednesday, 12 February, 2025

সিউড়িতে পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ২০ জন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ১৩ জন মহিলা রয়েছেন।

প্রতীকী চিত্র

সিউড়িতে পুলিশের ওপর হামলার পর কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের মিনিস্ট্রিল গ্রামে পুলিশের একটি দল আক্রান্ত হয়। এমনকি থানার আইসির কলার ধরে টানাটানির ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে, যাকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ১৩ জন মহিলা রয়েছেন। হামলার মূল অভিযুক্ত রসুলউদ্দিন আনসারি ও মাল্লু আনসারিকে অস্ত্র-সহ আটক করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামে দুই যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্থানীয়দের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছিলেন। প্রথমে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হলেও পরে তারা দু’জনকে ধরে ফেলে এবং হাত-পা বেঁধে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে জনতার রোষের মুখে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশের ওপর পাল্টা হামলা হয় এবং আটক দুই যুবককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। থানার আইসির জামার কলার ধরে টানাটানিও চলে। পুলিশের কয়েকজন সদস্য আক্রান্ত হলে তারা কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হামলার পর থেকেই পুলিশ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তিনটি বন্দুক, ছয়টি গুলি এবং বেশ কয়েকটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে—গ্রামের মধ্যে বেআইনি অস্ত্র এল কোথা থেকে? আরও অস্ত্র কি লুকিয়ে রাখা হয়েছে? পুলিশ সেই বিষয়েও তদন্ত চালাচ্ছে।

রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। এর আগে গোয়ালপোখর ও ডোমকলেও দুষ্কৃতীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিদের ছিনিয়ে নিয়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো সিউড়ির ঘটনা। পুলিশের ওপর বারবার এমন হামলা কেন হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, “ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও যারা জড়িত, তাদের খোঁজ চলছে। গ্রামে বেআইনি অস্ত্রের উৎস নিয়েও তদন্ত চালানো হচ্ছে।”