মালদহের কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তার করা হল। পাশাপাশি মঙ্গলবার কালিয়াচকে গন্ডগোলের ঘটনার মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মূল চক্রীকে ধরার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ধৃত ওই ব্যক্তির নাম আমির হামজা। তিনি নয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েই মূল অভিযুক্ত জাকির শেখের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিন জাকিরের খোঁজে স্নিফার ডক, ড্রোন নিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হামজা মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জাকিরের শাগরেদ। জখম তৃণমূল নেতা বকুল শেখের ভাইও জাকিরের নামে অভিযোগ করেছেন। এদিন ধৃত হামজাকে আদালতে পেশ করা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Advertisement
মঙ্গলবার কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় নিকাশি ও রাস্তা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াচক ১ ব্লকের নওদা যদুপুর এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে এদিন গুলি ছোড়া হয়। রাস্তায় পড়ে যান তিনি। বকুলের পাশাপাশি জখম হন তৃণমূলের আরও কয়েকজন কর্মী সমর্থক। এই ঝামেলার মধ্যেই তৃণমূল কর্মী হাসান ওরফে আতাউর হককে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
Advertisement
পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় গুলিই চলেনি। কিন্তু পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুলের পরিবার। প্রথম গ্রেপ্তারের আগে পর্যন্ত কালিয়াচক কান্ডে গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বকুলের ভাই আজমল শেখের অভিযোগ, নিরপরাধদের আটক করা হচ্ছে। এরপরই ২৪ বছর বয়সি হামজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বকুলের উপর হামলার ঘটনায় হামজা জড়িত বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে হাসানকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Advertisement



